নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের ঘটনায় রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কাকরাইলে হোটেল রাজমনি ঈশা খাঁ থেকে তাকে আটক করা হয়।
সকালে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রাজশাহী গেইটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে মেয়র পদ হারানোর পর আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়। সেসব মামলায় গ্রেফতার এড়াতে গত ২৩ নভেম্বর থেকে ঢাকার বিভিন্ন হোটেলে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। এসময়ে কোনো ডিজিটাল ডিভাইস বা মোবাইল ফোন ব্যবহার করছিলেন না আব্বাস। তাই তার অবস্থান চিহ্নিত করা যাচ্ছিল না। পরে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে আব্বাস আলী রাজমনি ঈশা খাঁ হোটেলে উঠেন। খবর পেয়ে র্যাব-৩ এর গোয়েন্দা দল তাকে নজরদারিতে রাখে। এরপর বুধবার সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব কর্মকতা জানান, গ্রেফতার এড়াতে দেশ ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন আব্বাস। তাকে আটকের সময় তার কাছ থেকে পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আব্বাস আলী রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক। তিনি আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হয়ে টানা দুই মেয়াদে মেয়রের দায়িত্ব আছেন।
সম্প্রতি বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে আব্বাস আলী বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এ-সংক্রান্ত একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া অডিওর কণ্ঠ নিজের বলে স্বীকার করেছেন আব্বাস আলী।
গত শুক্রবার ফেসবুক লাইভে এসে আব্বাস আলী বলেন, স্থানীয় একটি মাদ্রাসার বড় হুজুরের পরামর্শে প্রভাবিত হয়ে তিনি ম্যুরাল না রাখার বিষয়টি কথাচ্ছলে বলেছিলেন। এটা তিনি ভুল করেছেন বলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ক্ষমা চান। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত হচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন।