বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে কেইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে নিয়োগ পেল কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন (কেইসি)। ৫ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে মোটা ব্যয় হবে ৭১৭ কোটি ৪ লাখ ৯৯৯ টাকা। গতকাল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৫তম এবং সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২০তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ২টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে একটির অনুমোদন দেয়া হয়। আর ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ১৫টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে।

প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ৪টি, স্থানীয় সরকার বিভাগের ৪টি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৩টি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ৩টি এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ১৫টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ৬ হাজার ৭৫০ কোটি ২৪ লাখ ৯ হাজার ৩০৬ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ১ হাজার ১২৯ কোটি ৩৬ লাখ ৯০ হাজার ৫০৯ টাকা এবং বৈদেশিক অর্থায়ন ৫ হাজার ৬২০ কোটি ৮৭ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৭ টাকা। 

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বলেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক’-এর টোল আদায়, ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস) এবং এক্সপ্রেসওয়ের পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনকে (কেইসি) ৫ বছর মেয়াদে ৭১৭ কোটি ৪ লাখ ৯৯৯ টাকায় নিয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ফলে এখন থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক ব্যবহার করলে সবাইকে টোল দিতে হবে। 

বৈঠকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুল হলো সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট (তাপবিদ্যুৎ) কেন্দ্রের সংযোগ সড়ক ও আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং-ডউ১ নির্মাণের ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ১৬ কোটি ৮৪ লাখ ১২ হাজার ৬০১ টাকা ব্যয় বাড়িয়েছে সরকার। প্রকল্পটির পূর্ত কাজ করবে যৌথ উদ্যোগে এম এম নির্মাতা ও প্রকৌশলী এবং র‌্যাব আরসি প্রাইভেট লিমিটেড।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী ২য় সেতু নির্মাণ এবং বিদ্যমান সেতুগুলো পুনর্বাসন’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং-চড-০১ নির্মাণের ব্যয় কমিয়েছে সরকার। পূর্ত কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান জাপানের ওএসজেআই-এর ভেরিয়েশন বাবদ ৪৫০ কোটি ৬৪ লাখ ৯৬ হাজার ৪৪৭ টাকা ব্যয় হ্রাস করে ৫ হাজার ৫১৬ কোটি ২০ লাখ ১০ হাজার ৫৪৪ টাকার সংশোধিত ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট’ প্রকল্পের ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৩৭ কোটি ১৮ লাখ ২৮ হাজার ৪১৮ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হলো জাপানের তিনটি ওসিজি, ওসি, কেইআই অস্ট্রেলিয়ার এএমইসি এবং বিসিএল-এসিই- এসএআরএম স্ট্রেজি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০