শোক দিবসের সভায় অর্থমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু মৃত্যুর আগে দুটি যুদ্ধ রেখে গেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মৃত্যুর আগে দুটি যুদ্ধ রেখে গেছেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল রাজধানীর আইডিইবি ভবনে আইআরডি আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, এনবিআরের সদস্য কালিপদ হালদার, সুলতান মাহমুদ ইকবাল প্রমুখ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু মৃত্যুর আগে দুটি যুদ্ধ রেখে গেছেন। একটি হচ্ছে রক্তাক্ত যুদ্ধ, যার মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছে। সেই যুদ্ধে ৩০ লাখ নারী-পুরুষ শহীদ হয়েছেন, দুই লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছেন। জীবন দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যসহ জাতীয় চার নেতা। আর একটি যুদ্ধ তিনি রেখে গেছেন, সেটি হলো সোনালি যুদ্ধ। যারা প্রথম যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারেননি, তারা সেই রক্তের ঋণ শোধ করতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে এক সঙ্গে কাজ করবেন’- যোগ করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, জাতীর জনক সারা জীবন স্বপ্ন দেখেছেন এ দেশের মানুষের অর্থনীতির মুক্তির। এ দেশের মানুষকে তিনি অনেক ভালোবেসেছিলেন, ভালোবাসতেন। সে জন্য তিনি কোনো কাজ অসমাপ্ত রেখে যাননি। বঙ্গবন্ধু শুধু একটি নাম না, তিনি বিশ্বাসের নাম, একটি দেশের নাম, একটি পতাকার নাম।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ৭৩ বছর জীবনে শুধু ডেঙ্গুই আমাকে কাবু করেছে। এর আমি নতুন করে জীবন ফিরে পেয়েছি। বাজেট বক্তৃতায় ৭ মিনিট আমি কি পড়েছি, কি বলেছিÑতা কিছুই হুশ ছিল না।
আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিকের সঙ্গে নিজের বয়সের তুলনা করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি ভেবেছিলাম আরেফিন সিদ্দিক সাহেব আমার থেকে বড়। কিন্তু আমি ওনার থেকে অনেক বড়। বয়সের দিক থেকে আমি বড়। কারণ উনি ১৯৭৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। আর আমি ১৯৬৮ সালে মাস্টার্স শেষ করেছি। ‘বয়স অনেক হয়েছে কেউ আমাকে কাবু করতে পারেনি। একমাত্র ডেঙ্গু আমাকে কাবু করেছে। বাজেটের দু’দিন আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। ৭ মিনিট আমার জ্ঞান ছিল না। ওই ৭ মিনিটি কীভাবে কেটেছে, আমি তা মিলাতে পারি না’ বলেন মুস্তফা কামাল।
আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রোগ্রামে জাতির জনকের থাকার কথা ছিল। আমি সেই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। শেখ হাসিনাও তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন। আমাদের উপাচার্য শেখ হাসিনাকে ১৫ আগস্টের প্রোগ্রামে থাকার জন্য বলেছিলেন। অন্যদিকে শেখ হাসিনার স্বামী ওয়াজেদ মিয়া প্রশিক্ষণের জন্য জার্মানিতে ছিলেন। তিনি (ওয়াজেদ মিয়া) স্ত্রী-সন্তানকে সঙ্গে রাখার জন্য আলাদা বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন। ওয়াজেদ মিয়া বারবার শেখ হাসিনাকে ফোন করছিলেন সেখানে যাওয়ার জন্য।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০