বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট যেন সাদা হাতি

সংগীত কুমার: বিগত সরকারের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্পের একটি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ আর্থিক ব্ল্যাকহোলে পরিণত হয়েছে। প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্যাটেলাইটির ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি। ফ্রান্সের ‘থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস’ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ তৈরি করেছিল। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা হয়। স্যাটেলাইটের আয়ুষ্কাল ধরা হয় উৎক্ষেপনের সময় থেকে ১৫ বছর অর্থাৎ ২০৩৩ সাল পর্যন্ত। তারপর হয়তো এর অস্তিত্ব আর থাকবে না। তাই প্রকল্পের খরচ পুনরুদ্ধারের সময় দ্রুতই শেষ হয়ে আসছে। যদিও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, স্যাটেলাইটের মেয়াদকাল তিন বছর বাড়িয়ে ১৮ বছরে সম্প্রসারিত করা সম্ভব। কিন্তু স্যাটেলাইটের আয়ের থেকে ব্যয় বেশি হওয়ার কারণে সম্প্রসারিত তিন বছরে সরকার আরও লোকসানের মুখে পড়তে পারে।

কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বাংলাদেশে সম্প্র্রচার ও টেলিযোগাযোগ সেবা পরিচালনার জন্য ২০১৪ সালে একনেক সভায় ২ হাজার ৯৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে বরাদ্দ দেয়া হয় ১ হাজার ৩১৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা, যা প্রকল্পের মোট ব্যয়ের প্রায় ৪৪ শতাংশ। এছাড়া ‘বিডার্স ফাইন্যান্সিং’ এর মাধ্যমে এ প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ৬৫২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে হংকং সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশনের (এইচএসবিসি) সঙ্গে সরকারের প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ঋণচুক্তি হয়, যা ১ দশমিক ৫১ শতাংশ হার সুদসহ ১২ বছরে ২০ কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। অন্যদিকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে রাশিয়ার সংস্থা ইন্টার স্পুটনিকের কাছ থেকে অরবিটাল সøট কেনার অনুমোদন দেয়া হয়, যার অর্থমূল্য প্রায় ২১৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। কিন্তু শিল্প বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অর্থমূল্য অনেক বেশি ছিল। এই ধরনের সøটের জন্য সাধারণত ৮ থেকে ১০ মিলিয়ন ডলার বা ৯৩ কোটি থেকে ১১৭ কোটি টাকা দেয়া যায়। এছাড়াও স্যাটেলাইটি ২০১৭ সালে উৎক্ষেপণের কথা থাকলেও বিরূপ আবহাওয়ার কারণে এক বছর বিলম্বিত হয়। এতে প্রায় ২০০ কোটি টাকার মতো অপ্রয়োজনীয় খরচ হয়।

স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা স্যাটেলাইটের জন্য প্রতি ছয় মাস অন্তর এইচএসবিসিকে প্রায় ৮৫ লাখ ডলার পরিশোধ করতে হয় ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন’ (বিটিআরসিকে)। এপ্রিল পর্যন্ত সুদসহ ১২ কিস্তিতে এইচএসবিসিকে ১০১ দশমিক ৭০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। ২০২৮ সালের মধ্যে প্রায় ৬৪ মিলিয়ন ডলারের আরও আটটি কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু গত কয়েক বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার ৪০ শতাংশ অবমূল্যায়নের কারণে বিটিআরসির ওপর ঋণ পরিশোধের বোঝা আরও জেঁকে বসেছে। এখন বিটিআরসিকে প্রতি বছর দু’কিস্তিতে ১৯০ থেকে ২০০ কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে।

বিটিআরসি ৩১ জানুয়ারি ২০২২ স্যাটেলাইটটির মালিকানা হস্তান্তর করে নতুন গঠিত ‘বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড’ (বিএসসিএলের) কাছে। এই কোম্পানিটি গঠন করা হয় মূলত স্যাটেলাইটির পরিচালনার জন্য। তারপরেও বিটিআরসির সঙ্গে এইচএসবিসির ঋণচুক্তি সাক্ষর হওয়ায় স্যাটেলাইটটির যাবতীয় সম্পদের হিসাব বিটিআরসির কাছেই রাখতে হচ্ছে। কিন্তু আপনি যখন ‘ক’ কোম্পানির সম্পদ ‘খ’ কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করছেন, তখন অ্যাকাউন্টিং নীতি অনুযায়ী ‘খ’ কোম্পানির সব খরচ বহন করার কথা। অথচ এখানে, বিটিআরসি স্যাটেলাইটটি বিএসসিএলের কাছে হস্তান্তর করলেও এখনও তার ঋণ পরিশোধ করেই যাচ্ছে।
বিএসসিএলের নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী, (২০১৮-১৯) অর্থবছরে ১৯ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে এবং (২০১৯-২০২০) অর্থবছরে লাভ হয়েছে ১০২ কোটি টাকা। সর্বশেষ অডিট রিপোর্ট (২০২২-২৩) অনুযায়ী, কোম্পানিটির আয় ১৩০ কোটি টাকা এবং মুনাফা ৮৫ কোটি টাকা। যদিও মুনাফার এই হিসাব করার ক্ষেত্রে স্যাটেলাইটের অবচয় বা ডেপ্রিসিয়েশন ধরা হয়নি। অবচয় ধরলে লোকসানে থাকবে স্যাটেলাইটির পরিচালনাকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান বিএসসিএল। কিন্তু কৌশলে তারা আয়-ব্যয়ের তথ্য লুকোচুরি করে নিজেদের লাভজনক দেখাচ্ছে।

লাভ-লোকসানের ক্ষেত্রে সম্পদের স্থায়িত্বের বিপরীতে বছর বছর অবচয় দেখাতে হয়। ধরা যাক, একটি গাড়ির দাম ১০ লাখ টাকা। এটি ব্যবহার করা যাবে ১০ বছর। তাহলে বছরে গাড়িটির অবচয় দাঁড়াবে ১ লাখ টাকা। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মেয়াদ ১৫ বছর। এর সম্পদমূল্য দেখানো হয়েছে ২ হাজার ৭৮৪ কোটি টাকা। ফলে বছরে অবচয় (স্রেইট লাইন মেথড) দাঁড়ায় প্রায় ১৮৬ কোটি টাকা। কিন্তু বিএসসিএল তাদের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে (২০২১-২২) স্যাটেলাইটের আয়ের বিপরীতে অবচয় দেখায়নি। স্যাটেলাইট থেকে শুধু আয় দেখানো হয়েছে। ফলে কোম্পানিটির মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৮৫ কোটি টাকা। যদিও ১৮৬ কোটি টাকা অবচয় বিবেচনায় নিলে দেখা যাবে, বিএসসিএল ওই অর্থবছরে লোকসান করেছে (৬৬ কোটি টাকা)।
বিএসসিএলের নিরীক্ষা করেছে ‘এস এফ আহমেদ অ্যান্ড কোম্পানি’। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্যাটেলাইট বাবদ সম্পদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য বিএসসিএল তাদের সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেনি। বিএসসিএলের সম্পদ বিবরণীতে স্থায়ী ও চলতি সম্পদের তালিকায় স্যাটেলাইট নেই। অবচয় দেখানো হয়েছে দুই কোটি টাকার মতো, যা প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য সম্পদের, স্যাটেলাইটের নয়। যদিও (২০২১-২২) অর্থবছরে বিটিআরসি স্যাটেলাইটের সম্পদমূল্য বাবদ ১৮৬ কোটি টাকা অবচয় দেখিয়েছিল। কিন্তু অবচয় না দেখানোর কারণে বিএসসিএল লাভজনক কোম্পানি হিসেবে গণ্য হচ্ছে। অথচ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে প্রকল্পের অর্থ ও দৈনন্দিন খরচ মিলিয়ে যে ব্যয় তা পর্যন্ত উঠাতে ব্যর্থ বিএসসিএল।

বিএসসিএলের যুক্তি, বিটিআরসি তাদের সম্পদ বিবরণী থেকে স্যাটেলাইটের সম্পদমূল্য হস্তান্তর করেনি। নিরীক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান আরও বলেছে, স্যাটেলাইটের সম্পদমূল্য না দেখানোয় বিএসসিএলের সম্পদ বিবরণী ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। হিসাববিদদের সংগঠন ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) সাবেক একজন সভাপতি বলেছেন, নিরীক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানই তাদের প্রতিবেদনে বিষয়টি ডিসক্লোসার (ঘোষণা) দিয়েছে। যে সম্পদ থেকে কোম্পানির আয় হয়, তার অবচয় না দেখালে প্রকৃত আর্থিক চিত্র ওঠে আসে না। উল্লেখ্য, শুধু (২০২১-২২) অর্থবছর নয়, এখন পর্যন্ত কোনো অর্থবছরে বিএসসিএল লাভের মুখ দেখতে পারেনি। আগামী বছরগুলোতে পারবে কিনা, তাও সন্দেহ! কারণ তাদের আয় ব্যয়ের মধ্যে বিশাল ফারাক। ২০২৩ ও ২০২৪ সালের অডিট রিপোর্ট বা কোনো আর্থিক বিবরণী এখন পর্যন্ত প্রকাশ করেনি। আরও আশ্চর্য হওয়ার কথা যখন জানা যাবে, স্যাটেলাইট পরিচালনার জন্য গঠিত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি বিএসসিএল গত দুই বছরে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে এক পয়সাও জমা দিতে পারেনি।

বিএসসিএলের আয়ের পুরোটা আসে দেশে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও বিদেশি কিছু চ্যানেলের কাছে ব্যান্ডউইথড বিক্রি করে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণের প্রকল্প নিয়ে বিআরটিসির প্রকল্প প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্যাটেলাইটটির ৪০টি ট্রান্সপন্ডার রয়েছে। এর মধ্যে ২০টি বাংলাদেশের জন্য এবং ২০টি দেশের বাইরের জন্য ব্যবহার করা যাবে। ট্রান্সপন্ডার বিদেশে ইজারা দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যাবে। অবশ্য ছয় বছরে এসে দেখা যাচ্ছে দেশের জন্য ২০টি ট্রান্সপন্ডারের সবগুলো ব্যবহƒত হলেও দেশের বাইরের জন্য রাখা ট্রান্সপন্ডারগুলোর ব্যবহার খুবই কম হচ্ছে। সব মিলিয়ে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সরবরাহযোগ্য সি-ব্যান্ড ফ্রিকোয়েন্সির মাত্র ৫৯ শতাংশ বিক্রি হয়েছে এবং কেইউ-ব্যান্ডের ২৫ শতাংশ বিক্রি করা সম্ভব হয়েছে। সি-ব্যান্ড বৃষ্টিতে ভালো করলেও এর জন্য একটু বড় অ্যান্টেনার প্রয়োজন হয়, অন্যদিকে কেইউ-ব্যান্ড বেশি ব্যান্ডউইডথ দিতে পারলেও আবহাওয়া খারাপ থাকলে এর কাজ ব্যাহত হয়। বিএসসিএল বলছে, ৪০টির মতো টেলিভিশন চ্যানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সেবা নেয়। বাংলাদেশের সম্প্র্রচারের ক্ষেত্রে ভারতীয় চারটি চ্যানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ব্যবহার করে। সেগুলো হলো স্টার, সনি, জি নেটওয়ার্ক ও কালারস্ টিভি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের আওতার মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো ছাড়াও কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়া রয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের বছরে ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে ট্রান্সপন্ডার বিক্রির জন্য চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু দেশ দুটির বাজার ধরা যায়নি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সেবা বিক্রির ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ হলো স্যাটেলাইট কে-ইউ ব্যান্ডের ট্রান্সপন্ডারগুলো চারটি ভিন্ন ভিন্ন ব্লকে বিভক্ত। প্রতিটি ব্লকে ছয়টি করে ট্রান্সপন্ডার রয়েছে। কোনো দেশে কে-ইউ ব্যান্ডের একটি ট্রান্সপন্ডার বিক্রি করতে গেলে ওই ব্লকের বাকি পাঁচটি ট্রান্সপন্ডার অন্য কোনো দেশে ব্যবহার বা বিক্রি করা যায় না- ওই দেশেই বিক্রি করতে হয়। এর কারণ ত্রুটিপূর্ণ নকশা। চাহিদা না থাকলে অথবা উপর্যুক্ত দাম না পাওয়া গেলে ব্লকের বাকি ট্রান্সপন্ডারগুলো অবিক্রীত থেকে যায়। বিএসসিএল বলছে, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের আগেই বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ফ্রিকোয়েন্সি সমন্বয় করা দরকার ছিল। সেটা করা হয়নি। ফলে সেসব দেশে ল্যান্ডিং রাইটস (অনুমতি) পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

অদূরদৃষ্টিসম্পন্ন এই ব্যয়বহুল প্রজেক্ট এখন জনগণের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঋণের বোঝা এখন সাধারণ জনগণের ওপর চাপানো হচ্ছে এবং সেই বোঝা দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রয়োজন ছিল ঠিকই। কিন্তু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের যৌক্তিকতা এবং আগের ও পরের সব বিষয়ের টেকসই পরিকল্পনা করা দরকার ছিল। মাথায় রাখা উচিত ছিল বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে এই ব্যয়বহুল প্রকল্প কতটা সুফলদায়ক হবে? প্রকল্প থেকে আদৌ আমরা লাভবান হব কিনা? নাকি বিদেশি স্যাটেলাইট ব্যবহার করাটাই যৌক্তিক হবে! এসব বিষয়ের যৌক্তিকতা যদি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার করা হতো তাহলে হয়তো এত বড় লোকসানে পড়তে হতো না! এছাড়া স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর যে প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও দেশীয় বিশেষজ্ঞ গড়ে ওঠার কথা ছিল, সেটাও হয়নি! বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানকে (স্পারসো) বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কোনো পর্যায়েই যুক্ত করা হয়নি। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্যাটেলাইটের সঙ্গে তাদের যুক্ত করা অতি প্রয়োজন ছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের এই বিলাসবহুল প্রকল্পের স্বচ্ছতা কতটুকু ছিল; তা বের করতে হবে এবং বিএসসিএলকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে। সর্বোপরি এখন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের লোকসান কমিয়ে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে হবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০