নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবাজারের আগুনে বিএনপি জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হবে-ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বিএনপি নয় বঙ্গবাজারে আগুনের ঘটনায় আওয়ামী লীগের অত্যন্ত প্রভাবশালী লোক জড়িত।
শুক্রবার দুপুরে ১২ দলীয় লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন। এর আগে ১২ দলীয় জোট ও বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন মির্জা ফখরুল।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যদি বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত ও নিরপেক্ষ তদন্ত হয় তাহলে এটি বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা আছে। এটা সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগের দ্বারাই হয়েছে। আওয়ামী লীগের অত্যন্ত প্রভাবশালী লোক বঙ্গবাজারকে দখল করার জন্য চেষ্টা ও কাজ করছিলেন। ফলে প্রকৃত তদন্তে হলে বেরিয়ে আসবে, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী লোকই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, প্রত্যেকটি হয়েছে কারচুপির। এগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নির্বাচন হয়নি। স্বাভাবিকভাবে জাতিসংঘ এটাতে চিন্তিত। সেজন্য জাতিসংঘ বলেছে, সবার অংশগ্রহণে বাংলাদেশে একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া উচিত, যা আগে হয়নি। সে কারণে জাতিসংঘ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ প্রস্তাব দিয়েছে। এটা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।’
তিনি আরও বলেন, সরকারের লক্ষ্য তারা আবার আগের কায়দায় নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাবে। তারা সেভাবেই পরিকল্পনা করেছে। স্বাভাবিকভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যেটা বলেছেন, তাতে আমরা অবাক হয়নি। তিনি বলেছেন, এখানে কাউকে দরকার নেই, আমরা নিজেরাই যথেষ্ট।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গতকাল নির্বাচন কমিশনও বলেছে, সবাই নির্বাচনে অংশ না নিলে সেটার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাবে। সুতরাং বাস্তবতা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হলে ও আমরা যারা বিরোধী জোট আছি তারা অংশ না নিলে নির্বাচনের বৈধতা থাকবে না। আমরা মনে করি সরকার আগের কায়দায় একতরফা নির্বাচন করতে চায়। সে কারণে তারা জাতিসংঘের এই প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ১২ দলীয় জোটের নেতা মোস্তফা জামাল হায়দার, সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম, শাহাদাত হোসেন সেলিম, সৈয়দ এহসানুল হুদা প্রমুখ।