নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের দেড় দশকে ‘বঞ্চিত ও বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া’ যে কর্মকর্তারা এখন প্রতিকার চান, তাদের আবেদনের সময় আরও তিন দিন বাড়িয়েছে সরকার।
এই আবেদনের শেষ সময় ছিল সোমবার। গতকাল মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (নিয়োগ, পদোন্নতি, প্রেষণ অনুবিভাগ) মো. আব্দুর রউফের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আবেদন করার সময় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, ২০০৯ সাল থেকে চলতি বছরের ৪ আগস্টের মধ্যে প্রশাসনের আড়াই হাজারের বেশি কর্মকর্তা ‘বঞ্চনার শিকার’ হয়েছেন বলে মনে করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
চাকরিচ্যুত সেসব কর্মকর্তাকে চাকরিতে ফিরিয়ে আনা বা তাদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা দিতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করার কথা জানিয়েছিলেন জনপ্রশাসন সচিব মোখলেস উর রহমান। তিনি বলেছিলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব জাকির আহমেদ খান এই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন, অর্থ ও আইন মন্ত্রণালয় থেকে অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের আরও চার কর্মকর্তা কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন।
মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আওতায় চাকরিতে নানা ধরনের বঞ্চনার শিকার কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা এবং সেসব নিষ্পত্তির লক্ষ্যে করণীয় ঠিক করাই হবে এই কমিটির কাজ।’
বঞ্চিত কর্মকর্তাদের সমস্যা সমাধানে এই কমিটিকে তিন মাস সময় দেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন জনপ্রশাসন সচিব। তিনি বলেছিলেন, ‘কমিটি যেদিন থেকে কাজ শুরু করবে, ওই দিন থেকে তিন মাসের মধ্যে সরকারের কাছে সুপারিশমালা, কেস টু কেস, তারা কে কী পদ পাবেন, পদ পাওয়ার পরে আর্থিক সুবিধা কী হবে এসব দেবেন তারা।
হাসিনার আমলে ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তাদের মূল্যায়নে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। এরপর ২৪ সেপ্টেম্বর আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি, প্রেষণ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে আবেদন দিতে বলেছিল পাঁচ সদস্যের এই কমিটি। তখন সচিবের কাছে আবেদন জমা দেয়ার একটি নির্দিষ্ট ছকও নির্ধারণ করে দেয়া হয়। সেই ছক অনুযায়ী, বঞ্চিত কর্মকর্তাদের নাম, আইডি, চাকরিতে যোগ দেয়ার তারিখ, অবসরকালীন পদবির সঙ্গে উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতির তারিখ এবং এসব পদে কনিষ্ঠ কর্মকর্তা যে তারিখে পদোন্নতি পেয়েছেন তার নাম ও আইডি নম্বর দিতে বলা হয়।