নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে লেনদেন, সূচক ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর। গতকালও এ ধারাবাহিকতা বজায় ছিল।
অন্যদিনের তুলনায় গতকাল বাজার পরিস্থিতি ছিল আরও বেশি সন্তোষজনক। এদিন সূচকের বড় উত্থানের পাশাপাশি বড় উত্থান দেখা যায় লেনদেন ও বাজার মূলধনে। বাজারের এ বড় উত্থানের দিন চালকের আসনে ছিল ব্যাংক খাত।
গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সকাল থেকে ব্যাংক শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের ভিড় ছিল। প্রতিটি ব্যাংকের শেয়ারে বিক্রেতার চেয়ে ক্রেতার ভিড় ছিল বেশি, যে কারণে শুরু থেকেই বাড়তে থাকে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর। লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত ছিল, যার জের ধরে দিন শেষে বাড়তে দেখা যায় ব্যাংক খাতের শতভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর। দর বৃদ্ধির পাশাপাশি মোট লেনদেনেও এগিয়ে যায় এ খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের একক অবদান দেখতে পাওয়া যায় ১২ দশমিক ৫১ শতাংশ। এর মধ্যে দিয়ে এক মাসেরও বেশি সময় পরে লেনদেনে ১০ শতাংশের বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হয় ব্যাংক খাত।
এদিকে পুঁজিবাজারে বড় উত্থানের দিন কমতে দেখা গেছে বিমা খাতের শেয়ারদর। বিনিয়োগকারীরা ব্যাংক খাতের শেয়ারে ঝুঁকে পড়ার কারণেই বিমা খাতের শেয়ারদরে বেশি পতন হয়। চাহিদা না থাকার কারণে লেনদেনের শুরু থেকে কমতে থাকে এ খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর। ফলে দিন শেষে লেনদেন হওয়া সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদরে পতন হয়। অন্যদিকে মোট গতকাল দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের একক অবদান দেখতে পাওয়া যায় ২১ শতাংশ।
এদিকে গতকাল ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ারেরও বেশ চাহিদা লক্ষ করা গেছে। ব্যাংকের পাশাপাশি এ খাতের শেয়ারে বিনিয়োগ বাড়িয়েছেন অনেকে। ফলে বাড়তে দেখা গেছে খাতটির বেশিরভাগ শেয়ারদর। দিন শেষে এ খাতে তালিকাভুক্ত ৩১ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কমেছে মাত্র তিনটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর। মোট লেনদেনেও আগের চেয়ে এগিয়েছে খাতটি। গতকাল দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের একক অবদান দেখা গেছে প্রায় ১৫ শতাংশ। এছাড়া বিবিধ, প্রকৌশল, আর্থিক ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটেও বিনিয়োগকারীদের নজর দেখা যায়।
এদিকে গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক গতকাল ১১০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে পাঁচ হাজার ৩২৮ পয়েন্টে। আর দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হতে দেখা যায় এক হাজার ৫২৯ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট।