মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে বড় ধরনের উত্থান দেখা গেছে। দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ১০৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ছয় হাজার ১৫০ পয়েন্টে। পাশাপাশি বাড়তে দেখা গেছে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩০৭টির। পাশাপাশি ৪১টির দর কমে ও ২৩টির দর পরিবর্তিত হতে দেখা যায়।
এদিকে বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গতকাল সব খাতের শেয়ারেই বিনিয়োগকারীদের নজর ছিল। তবে এর মধ্য ব্যতিক্রম ছিল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত। দিনের শুরু থেকেই এ দুই খাতের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের (ক্রেতা) ভিড় দেখতে পাওয়া যায়। সেই তুলনায় বিক্রেতা ছিল কম। এ কারণে খাত দুটির শেয়ারদর বেশি বাড়তে দেখা গেছে। দিন শেষে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের শতভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়তে দেখা যায়।
এদিকে খাতভিত্তিক লেনদেনে চোখ রাখলে দেখা যায়, সবার শীর্ষে ছিল বিমা খাত। কয়েক দিন বিরতি দিয়ে গতকাল আবারও এ খাতের শেয়ার চাহিদা বাড়তে দেখা যায়। ফলে বাড়ে খাতটির বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। দিন শেষে মোট লেনদেনে খাতটির একক অংশগ্রহণ দেখা যায় প্রায় ১৮ শতাংশ। লেনদেনে এর পরের অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাত। গতকালের লেনদেনে এ খাতের অবদান ছিল ১৪ শতাংশ। এর পরের অবস্থানে ছিল যথাক্রমে ব্যাংক ও আর্থি প্রতিষ্ঠান। শেয়ারদর বাড়ায় বিক্রেতাদের অনেকে বিক্রয় আদেশ প্রত্যাহার করে নেন। এ কারণে শতভাগ শেয়ারদর বাড়ার পরও খাত দুটি লেনদেনের শীর্ষে যেতে পারেনি। দিন শেষে মোট লেনদেনে ব্যাংকের ১০ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ অবদান দেখা যায়।
এদিকে সূচক বাড়ার পাশাপাশি গতকাল লেনদেনও বাড়তে দেখা যায়। আগের দিন এক হাজার ১৪৮ কোটি টাকা লেনদেন হলেও গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় এক হাজার ৪০৭ কোটি টাকা। এর মধ্য ব্লক মার্কেটে লেনদেন ছিল ৭২ কোটি টাকা। গতকাল এ মার্কেটে মোট ৪৬টি কোম্পানি লেনদেন অংশ নেয়।