নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছে গতকাল রোববার। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসও একই ধারায় শুরু হয়েছে। সেইসঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার প্রায় চারগুণের বেশি। এতে সব মূল্যসূচকে মোটামুটি বড় পতন হয়েছে। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে এ বাজারটিতেও সূচকের বড় পতন হয়েছে।
এদিন পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচক দুই পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের সময় ১০ মিনিট গড়ানোর আগে দাম কমার তালিকায় চলে আসে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। ফলে সূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। এরপর লেনদেনের সময় যত গড়িয়েছে, দরপতনের মাত্রা তত বাড়তে থাকে। ফলে সূচকের মোটামুটি বড় পতন দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিতে পেরেছে মাত্র ৩২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৯টির।
দাম বাড়ার তালিকায় থাকা দুটি মিউচুয়াল ফান্ড এবং একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়েছে। লেনদেনের একপর্যায়ে এ তিন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দিনের সর্বোচ্চ দামে বিপুল পরিমাণ ক্রয় আদেশ আসে। বিপরীতে শূন্য হয়ে পড়ে বিক্রয় আদেশের ঘর। তবে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১০ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ২৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় এক পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩৬৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় পাঁচ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৮৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সব মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪১২ কোটি পাঁচ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৬২৬ কোটি ৯৬ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ২১৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্টের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৩ কোটি সাত টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিডি থাই অ্যালুমিনিয়ামের ৩১ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২১ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন।
ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে অলিম্পিক অ্যাকসেসরিজ, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, প্যাসিফিক ডেনিমস, এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ড এবং ইভিন্স টেক্সটাইল।
এদিকে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হওয়া ১৭২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৭টির এবং ৮০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ছয় কোটি চার লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।