আমান উর রহমান: গতকাল সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচকের বড় পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় লেনদেন। সূচকের সঙ্গে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। এদিন ডিএসইতে সূচকের সঙ্গে সঙ্গে টাকার অঙ্কে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। গতকাল সূচকের বড় পতন হলেও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে উঠে এসেছে বিমা খাত। এরপর বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে ছিল প্রকৌশল খাত।
পুঁজিবাজার পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, গতকাল বিমা খাতের ৫৪টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে। এ খাতে ৫৪টি কোম্পানির মধ্যে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। যার ফলে গতকাল বিমা খাতে ৮ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এর পরের অবস্থানে থাকা প্রকৌশল খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৫ শতাংশ। গতকাল প্রকৌশল খাতে লেনদেন হওয়া ৪২টি কোম্পানির মধ্যে ৪টির শেয়ারদর বেড়েছে।
এদিকে টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করছে প্রকৌশল খাত। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়ে প্রথম স্থানে অবস্থান করছে। তার পরের স্থানে অবস্থান করছে বিবিধ খাত। খাতটিতে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন করে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে ওষুধ খাত। ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন করে চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছে বস্ত্র খাত।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ৫৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৪৩১ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৪০৪ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ১৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৮৫ পয়েন্টে। গতকাল ডিএসইতে ৩৬৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৮টির, কমেছে ২৬৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৮টির।
গতকাল ডিএসইতে ১ হাজার ৪০০ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যা আগের দিনের তুলনায় ৮৯৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা কম। রোববার ডিএসইতে ২ হাজার ২৯৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
