বড় লিডের অপেক্ষায় বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক : টেস্টে নিজেদের ফিরে পেতে প্রাণপণ চেষ্টা করছে বাংলাদেশ; যা গত দুদিন মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দেখিয়েছেন আবু জায়েদ চৌধুরী, নাজমুল হোসেন শান্তরা-মুমিনুল হকরা। বল-ব্যাট হাতে তাদের সম্মিলিত পারফরম্যান্সে স্বাগতিকরা তাই সিরিজের একমাত্র টেস্টে দেখছে বড় লিডের স্বপ্ন।

মিরপুর টেস্ট শেষ হতে বাকি এখনও তিন দিন। যে কারণে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে নেই তেমন তাড়াহুড়া। দ্বিতীয় দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা তুলেছে ২৪০ রান। এখনও জিম্বাবুয়ে থেকে ২৫ রানে পিছিয়ে টাইগাররা। এর আগে জিম্বাবুয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে গুটিয়েছিল মাত্র ২৬৫ রানে।

বাংলাদেশের ২৪০ রানের সঞ্চয়ে মুমিনুল অপরাজিত রয়েছেন ৭৯ রানে। এদিকে তার সঙ্গী মুশফিকুর রহিম অপরাজিত ৩২ রানে। এর আগে তামিম ইকবাল ৪১ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরে যান ৭১ রানে।

সাদা পোশাকের ক্রিকেটে লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং করার একাধিক নজির রয়েছে সাইফ হাসানের। কিন্তু গেল পাকিস্তান সফরের মতো গতকাল মিরপুরেও ইনিংসের শুরুতে ফিরে যান তিনি। ১২ বল খেলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। দারুণ ব্যাট চালানো তামিম ইকবালও শেষ পর্যন্ত হতাশ করেন। ফেরেন ৪১ রান করে। নাজমুল হোসেন ৭১ রানে ফিরে গেলেও অধিনায়ক মুমিনুল দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করেন দিনের বাকি সময়। ৩ উইকেটে ২৪০ রান করে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ।

গতকাল তামিম ইকবাল ও সাইফের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছিল, ওপেনিং জুটির কাছ থেকে বড় ইনিংস পাবে বাংলাদেশ। কিন্তু না। প্রথমে ভুল করেন সাইফ। ভিক্টর নুয়াচির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে অহেতুক জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন সাইফ (৮)। এরপর দলের রানের গতি বাড়ান তামিম-শান্ত। দ্বিতীয় উইকেটে তারা যোগ করেন ৭৮ রান। শেষ পর্যন্ত তামিমের বিদায়ে ভাঙে এ জুটি। ডোনাল্ড টিরিপানোর রাউন্ড দ্য উইকেটে করা বলের লাইন ও অ্যাঙ্গেল বুঝতে পারেননি এ অভিজ্ঞ ওপেনার। ৭ চারে ৪১ রানে থামে সম্ভাবনাময় ইনিংসটি। পরে অবশ্য শান্তর সঙ্গে মুমিনুলের জুটিও জমে গিয়েছিল। সেটি থামে শান্তর আউটে। চতুর্থ টেস্ট খেলতে নামা শান্ত হাফসেঞ্চুরি পান ১০৮ বলে। এরপর একটু ছটফট করছিলেন, শট খেলার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছিল। সেটিরই খেসারত দেন। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে আউট হন ৭১ রান করে। অভিষিক্ত পেসার চার্লটন টিশুমা পান প্রথম টেস্ট উইকেটের স্বাদ।

তুলনামূলক আক্রমণাত্মক মুমিনুল। ৭ ইনিংস পর হাফসেঞ্চুরির দেখাও পেয়েছেন তিনি। গতকাল ১২০ বলে ৭৯ রানে অপরাজিত ছিলেন এ বাঁহাতি। তার সঙ্গী মুশফিকের সংগ্রহ ৩২।

এর আগে জিম্বাবুয়ের বাকি চার উইকেট ভাগাভাগি করে নেন আবু জায়েদ আর তাইজুল। গত পরশু ৬ উইকেটে ২২৮ রান নিয়ে দিন শুরু করা জিম্বাবুয়ে গতকাল টিকে ছিল মাত্র ৮০ মিনিট।

প্রথম উইকেটটির জন্য গতকাল বাংলাদেশ অপেক্ষা করেছিল ৬ ওভার পর্যন্ত। সে সময় অফ স্টাম্পঘেঁষা সুইং ডেলিভারিতে ডোনাল্ড টিরিপানোকে ফেরান আবু জায়েদ। এরপর আবু জায়েদ দেখা পান আরেকটি উইকেটের। চার্লটন টিশুমাকে আর্ম ডেলিভারিতে বিদায় করে ম্যাচে প্রথম শিকার করেন তাইজুল। সফরকারীদের শেষ জুটি রেজিস চাকাভা ও নিয়াউচি যোগ করেন ২০ রান। শেষ পর্যন্ত তাদের প্রতিরোধ ভাঙেন তাইজুল। তাতে বাংলাদেশ পেয়ে যায় সহজ লক্ষ্যমাত্রা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ১০৬.৩ ওভারে ২৬৫ (আগের দিন ২২৮/৬) (চাকাভা ৩০, টিরিপানো ৮, এনডিলোভু ০, টিশুমা ০, নুয়াচি ৬*; ইবাদত ১৭-৮-২৬-০, আবু জায়েদ ২৪-৬-৭১-৪, নাঈম ৩৮-৯-৭০-৪, তাইজুল ২৭.৩-১-৯০-২)।

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৭১ ওভারে ২৪০/৩ (তামিম ৪১, সাইফ ৮, শান্ত ৭১, মুমিনুল ৭৯*, মুশফিক ৩২*; টিরিপানো ১৫-৩-৪০-১, নুয়াচি ১৩-২-৪১-১, রাজা ২২-১-৭৫-০, টিশুমা ১২-০-৪৬-১, এনডিলোভু ৯-১-৩৩-০)।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০