নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি ধারাবাহিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফিরেছে পুঁজিবাজার। প্রতিদিনই বাড়ছে সূচক। এর পাশাপাশি বাড়ছে অধিকাংশ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার এবং ইউনিটের দর। একইভাবে ধীরে ধীরে বাড়ছে লেনদেন। গতকালও এর ব্যতিক্রম ছিল না। এদিনে ডিএসইতে মোট ১ হাজার ৩২৯ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। গতকাল লেনদেনে বড় উত্থানের দিন লেনদেনে চালকের আসনে ছিল ব্যাংকিং খাত।
গতকালের বাজার পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এদিন লেনদেনে এগিয়ে ছিল ব্যাংক খাত। সকাল থেকেই এই খাতের কোম্পানির প্রতি আগ্রহ ছিল বিনিয়োগকারীদের। লেনদেন শুরু থেকেই ব্যাংক খাতের শেয়ারদর বাড়তে থাকে। যে কারণে এই খাতের শেয়ারে বিক্রেতার চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা বেশি দেখা যায়। ফলে দ্রুতই বাড়তে থাকে দর। এর জের দরে দিন শেষে এই খাতের শতভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়তে দেখা যায়। আর মোট লেনদেনে এই খাতটির একক অবদান দেখা যায় প্রায় ১৪ শতাংশ, যা দীর্ঘদিন দেখা যায়নি। মূলত তুলনামূলকভাবে এই খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর এখনও অনেক কম। যে কারণে এই খাতের শেয়ারের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের।
এদিকে, গতকাল ব্যাংক খাতের পর লেনদেনে এগিয়ে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। তবে এই খাত থেকে মুনাফা তোলার প্রবণতা ছিল অনেক বেশি। যে কারণে মোট লেনদেনে কিছুটা এগিয়ে যায় খাতটি। দিন শেষে মোট লেনদেন এই খাতের অবদান দাঁড়ায় ১৬ শতাংশ। পরের অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনে এই খাতের অবদান দাঁড়ায় প্রায় ১২ শতাংশ। এই তিন খাত ছাড়া অন্য খাতগুলোর তেমন একক আধিপত্য দেখা যায়নি। প্রায় সব খাতের শেয়ারেই বিনিয়োগকারীদের সমান নজর দেখা যায়। অন্যদিকে গতকাল ডিএসইতে সন্তোষজনক হারে সূচক বাড়তে দেখা যায়। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক বৃদ্ধি পায় ৮৩ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে স্থির হয় পাঁচ হাজার ৯৪ পয়েন্টে। গতকাল বড় লেনদেনের দিনে ব্লক মার্কেটে মোট ১২০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হতে দেখা যায়। এই মার্কেটে লেনদেনে অংশগ্রহণ করে মোট ২৩টি কোম্পানি।