বাংলাদেশে ব্যবসায়িক কার্যক্রমের দুবছর উদ্যাপন করেছে ব্রিটিশ ব্র্যান্ড দি বডি শপ। প্রতিষ্ঠানটি রিটেইল কার্যক্রমের বিস্তৃতিতে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে দ্বিতীয় আউটলেট চালু করেছে। কমপ্লেক্সের গ্রাউন্ড ফ্লোরে নতুন আউটলেট সহজে খুঁজে পাবেন ক্রেতাসাধারণ। স্বল্প সময়ে স্কিনকেয়ার ও বিউটি পণ্যে বাংলাদেশের ক্রেতাদের বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে ‘দি বডি শপ’। আর এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেই নতুন এ আউটলেট চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশে বডি শপ কোয়েস্ট হোল্ডিংসের এক্সক্লুসিভ পার্টনার হিসেবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে উচ্চমানসম্পন্ন কসমেটিকস ও টয়লেট্রিজ পণ্য উৎপাদন করে দি বডি শপ। ব্র্যান্ডটি বাংলাদেশে পথচলার এক বছর পূর্ণ হলো। প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্মৃতি মালহোত্রা বলেন, বাংলাদেশে আরেকটি নতুন স্টোর উম্মোচন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। উদ্ভাবনী শপিং অভিজ্ঞতা নিতে এবং আমাদের নানা ক্যাম্পেইন ও উদ্যোগের অংশ হতে নতুন স্টোরে আসার জন্য সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। ক্রেতাদের শতভাগ প্রাকৃতিক পণ্য সরবরাহ করি আমরা।
বাংলাদেশে ২০১৮ সালে যমুনা ফিউচার পার্কে প্রথম ফ্ল্যাগশিপ রিটেইল স্টোর উম্মোচন করে দি বডি শপ। এখানে স্কিনকেয়ার, বাথ অ্যান্ড বডি, কসমেটিকস, হেয়ার, ফ্রাগ্রেন্স, গিফট ও অ্যাকসেসরিজ রয়েছে। এছাড়া ক্রেতারা স্কিন কেয়ার ও কসমেটিকস-সংক্রান্ত পরামর্শ পাবেন এখানে। আউটলেট দুটিতে ক্রেতারা পাবেন বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী সব পণ্য: যেমন টি ট্রি’র পণ্য, এক্সপার্ট ফেসিয়াল মাস্ক, ভিটামিন ‘ই’ সমৃদ্ধ নানা পণ্য, ড্রপস অব ইয়ুথ, ড্রপস অব লাইটসহ বাথ, বডি ও মেকআপ।
ক্রেতারা বডি শপের ইউনিক রিওয়ার্ড প্রোগ্রাম ‘লাভ ইওর বডি ক্লাব’-এর মেম্বার হতে পারবেন। লয়্যাল্টি মেম্বাররা বিশেষ সুবিধা, রিওয়ার্ড পয়েন্ট ও মেম্বার ওনলি ডিসকাউন্ট পাবেন। সদস্য হওয়ার প্রথম দিন থেকে তারা রিটেইল স্টোর থেকে সব এমআরপি পণ্য কেনার বেলায় ১০ শতাংশ ডিসকাউন্ট উপভোগ করতে পারবেন।
ব্র্যান্ডটি এথিক্যাল স্কিনকেয়ার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এরই ধারাবাহিকতায় ‘ফরএভার অ্যাগেইনস্ট অ্যানিমেল টেস্টিং’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ল্যাবরেটরিতে প্রাণীর ওপর যে পরীক্ষা চালানো হয় তা বন্ধে আহ্বান জানিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির সব পণ্য শতভাগ প্রাকৃতিক ও ও প্রাণী-নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে। তাই ক্রেতারা এখান থেকে পণ্য কেনায় ব্র্যান্ডটির নৈতিকতায় আস্থা রাখতে পারবেন বলে বিশ্বাস করে কর্তৃপক্ষ।