নিজস্ব প্রতিবেদক: ডেল্টা প্ল্যানকে (বদ্বীপ পরিকল্পনা) উন্নয়নের ভিত্তি হিসেবে ধরে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংককে (এডিবি) অর্থায়ন সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। তিনি বলেছেন, টেকসই উনয়নের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা জরুরি। এ জন্য শতবর্ষের এ পরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে নতুন নতুন ক্ষেত্রগুলোতে অর্থায়নের কথা বলা হয়েছে।
দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা নিয়ে আলোচনার জন্য গতকাল প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং। সাক্ষাতে আলোচনাকালে প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের প্রতিমন্ত্রীর নিজ কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্র বহুমুখীকরণের বিষয়ে আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী। কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং বিষয়টি বিবেচনার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। বৈঠকে এডিবি ঢাকা অফিসের বহিঃসম্পর্ক বিভাগের প্রধান গোবিন্দ বর এবং কান্ট্রি স্পেশালিস্ট সুনচান হং উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ব-দ্বীপ পরিকল্পনার আওতায় ২০৩০ সাল নাগাদ বাস্তবায়নের জন্য ৮০টি প্রকল্প নির্ধারণ করা রয়েছে। এর মধ্যে ১৭-১৮টি বর্তমানে বাস্তবায়ন পর্যায়ে রয়েছে। বাকি প্রকল্পগুলোতে অর্থায়নের অভাব রয়েছে। এ জন্য এডিবিকে জলবায়ু সহনশীল প্রকল্পগুলোতে অর্থায়নের আহ্বান জানিয়েছি। সেই সঙ্গে গ্রিন হাউস পদ্ধতিতে কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন, চলনবিল রক্ষা, শহরের আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং শহরের জলাবন্ধতা দূরীকরণে আন্ডারগ্রাউন্ড ড্রেনেজ ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে জোর দিতে বলা হয়েছে। ড. আলম আরও বলেন, গ্রিন হাউজ পদ্ধতিতে প্লাস্টিকের বড় বড় ঘর বানিয়ে ফসল চাষ বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে জমি সংকটের কথা মাথায় রেখে ভার্টিক্যাল চাষ পদ্ধতির প্রবর্তন করতে হবে। এটি সরকারি ও বেসরকারি উভয় দিক থেকেই হতে পারে। এক্ষেত্রে বড় বিনিয়োগ প্রয়োজন। সে জন্য এডিবিকে অর্থায়ন করতে বলা হয়েছে।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং প্রচলিত খাতের বাইরে আরও নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে কাজ করবেন বলে বৈঠকে জানিয়েছেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার আশ্বাস দিয়ে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, তথ্যপ্রযুক্তি, দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াতে কাজ করবেন। সেই সঙ্গে উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উত্তম চর্চাগুলো এনে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণে তার ভূমিকা থাকবে।