নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকগুলো মোট মূলধনের পাঁচ শতাংশের বেশি বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারবে না বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দেশনা জারি করেছে। বর্তমানে বন্ডে ব্যাংকগুলো মূলধনের ১০ শতাংশ বিনিয়োগ করতে পারে। নতুন নির্দেশনার ফলে অর্ধেক কমলো বন্ডে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ গতকাল এ বিষয়ে আদেশ জারি করে।
নির্দেশনায় বলা হয়, কোনো ব্যাংক-কোম্পানি আদায়কৃত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম, সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও রিটেইল্ড আর্নিংয়ের মোট পরিমাণের পাঁচ শতাংশের বেশি কোনো একটি কোম্পানির বন্ড বা ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগ করতে পারবে না। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বন্ড বা ডিবেঞ্চার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে। বন্ড বা ডিবেঞ্চার ইস্যুকারী কোম্পানির এক্সটারনাল ক্রেডিট রেটিং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক স্বীকৃত এক্সটারনাল ক্রেডিট অ্যাসেসমেন্ট ইনস্টিটিউশনের (ইসিএআই) মাধ্যমে সম্পাদিত হতে হবে। এক্ষেত্রে ইস্যুকারী কোম্পানির এক্সটারনাল ক্রেডিট রেটিং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারিকৃত ঝুঁকিভিত্তিক ক্যাপিটাল অ্যাডিকোয়েন্সি গাইডলাইন্সে বর্ণিত রেটিং গ্রেড অনুযায়ী দীর্ঘ মেয়াদে সর্বনিম্ন ‘২’ এবং স্বল্প মেয়াদে সর্বনিম্ন ‘এস২’ হতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, কোনো ব্যাংক কোম্পানির মাধ্যমে কোনো কোম্পানির বন্ড বা ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে জারি করা বিআরপিডি সার্কুলারে বর্ণিত সিঙ্গেল বারোয়ার এক্সপোজার লিমিট সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে।
ব্যাংকের বেড়ে যাওয়া বন্ডের বিনিয়োগে রাশ টানতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে ২০০৮ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো মূলধনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কোনো কোম্পানির বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারতো।
কোনো কোম্পানির বন্ড কেনার আগে দেখতে হবে তার যথাযথ অনুমোদন আছে কিনা এবং ঝুঁকি মূল্যায়ন করা হয়েছে কি না। তাছাড়া বর্তমানে কোনো ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা পাঁচ শতাংশের বেশি হলে মেয়াদের সঙ্গে সঙ্গে তা সমন্বয় করে কমিয়ে আনতে নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে।