নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে বন্ড ইস্যুতে নতুন প্রস্তাবনা জানিয়েছে ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। ডিএসইতে প্রকাশিত তথ্যমতে, ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বন্ড ইস্যু করে ৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত জানায় গত ১৬ মে। কিন্তু গত ২৩ মে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পারপিচুয়াল বন্ড ইস্যুতে নতুন শর্তারোপ করে একটি নির্দেশনা জারি করে। নির্দেশনা অনুসারে প্রত্যেক ব্যাংকের পারপিচুয়াল বন্ডকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হবে। আর বন্ডের মোট আকারের ন্যূনতম ১০ শতাংশ পাবলিক অফারের মাধ্যমে বরাদ্দ দিতে হবে। ওই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক এশিয়ার বন্ড ইস্যুর প্রস্তাবে আগের সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে আলোচিত পরিবর্তন আনা হয়েছে। অর্থাৎ, ব্যাংকটির নতুন প্রস্তাবনা অনুযায়ী ৪৫০ কোটি টাকা প্রাইভেট প্লেসমেন্ট এবং বাকি ৫০ কোটি টাকা গণপ্রস্তাব বা পাবলিক অফারের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। উল্লেখ্য, এই বন্ডটি হবে আনসিকিউরড কন্টিনজেন্ট-কনভার্সন ফ্লোটিং রেট পারপিচুয়াল বন্ড।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংকের ব্যাসেল-৩ কমপ্লায়েন্সের শর্ত পূরণসাপেক্ষে অ্যাডিশনাল টায়ার-১ (এটি-১) মূলধন হিসেবে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে এই অর্থ সংগ্রহ করা হবে। সংগৃহীত অর্থ ব্যাংক খাতের এ প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনক্রমে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
এদিকে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে এমন সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য আগামী ১৮ আগস্ট বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে একটি বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) আয়োজন করা হয়েছে। এই ইজিএমসংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৮ জুলাই।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সর্বশেষ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৭৪ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৩৪ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩৪ টাকা ৯৪ পয়সা।