নিজস্ব প্রতিবেদক: ৫০০ কোটি টাকার সব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি এবি ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, এবি ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ৫০০ কোটি টাকার ‘এবি ব্যাংক সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড-৫’ ছাড়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে এই বন্ড ইস্যু করবে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য দুই শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে এবি ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৩ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৯২ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ১৯ টাকা ৫০ পয়সা (লোকসান)। এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে ২ শতাংশ নগদ ও তিন শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে এবি ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৬ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৫৯ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৩ টাকা ৪ পয়সা।
‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৭৮ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৬৯৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৮৭ কোটি ৮১ লাখ ৩২ হাজার ১০৮টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩১ দশমিক ২১ শতাংশ, সরকারি শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২২ দশমিক ৮১ শতাংশ, বিদেশি শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ এবং বাকি ৪৪ দশমিক ৬১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ১১ দশমিক ৬৯ ও হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১১ দশমিক ২৮।
চলতি হিসাবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩১ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ২৩ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে ৮ পয়সা। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪৩ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ৪১ পয়সা। সে হিসেবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ইপিএস বেড়েছে ২ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৬ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ৯৯ পয়সা (ঘাটতি), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪১ পয়সা।