Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 4:12 am

বন্ড ইস্যুর প্রস্তাবে সংশোধনী এনেছে পূবালী ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত মার্চ মাসে পারপিচুয়াল বন্ড ইস্যু করে অর্থ সংগ্রহের সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান পূবালী ব্যাংক লিমিটেড। তবে ওই বন্ড ইস্যুর প্রস্তাবে কিছুটা পরিবর্তনের কথা জানিয়েছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ব্যাংকটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ৫০০ কোটি টাকার পারপিচুয়াল বন্ড ছাড়তে চেয়েছিল; কিন্তু আগের সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। এবার ৫০০ কোটি টাকার পুরোটা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে সংগ্রহ না করে ৪৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। বাকি ৫০ কোটি টাকা গণপ্রস্তাব বা পাবলিক অফারের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংকের ব্যাসেল-৩ কমপ্লায়েন্সের শর্ত পূরণসাপেক্ষে অ্যাডিশনাল টায়ার-১ (এটি-১) মূলধন হিসেবে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে এই অর্থ সংগ্রহ করা হবে। সংগৃহীত অর্থ ব্যাংক খাতের এ প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসার প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনক্রমে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

মূলত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ গত মার্চে পারপিচুয়াল বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু পরবর্তীতে গত ২৩ মে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পারপিচুয়াল বন্ড ইস্যুতে নতুন শর্তারোপ করে একটি নির্দেশনা জারি করে। নির্দেশনা অনুসারে প্রত্যেক ব্যাংকের পারপিচুয়াল বন্ডকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হবে। আর বন্ডের মোট আকারের ন্যূনতম ১০ শতাংশ পাবলিক অফারের মাধ্যমে বরাদ্দ দিতে হবে। ওই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে পূবালী ব্যাংকের বন্ড ইস্যুর প্রস্তাবে আলোচিত পরিবর্তন আনা হয়েছে।

এদিকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সর্বশেষ সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৬০ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ৬৩ পয়সা।

উল্লেখ্য, ‘এ’ ক্যাটেগরির ব্যাংক খাতের এ কোম্পানিটি ১৯৮৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। প্রতিষ্ঠানটির দুই হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ২৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ৮৪১ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এছাড়া বর্তমানে কোম্পানিটির মোট ১০২ কোটি ৮২ লাখ ৯৪ হাজার ২১৯ শেয়ার রয়েছে।