নিজস্ব প্রতিবেদক: ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের ৪০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, বিএসইসির ৭৫৩তম সভায় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের ৪০০ কোটি টাকার পারপিচুয়াল বন্ডের প্রস্তাব কমিশন অনুমোদন করেছে। বন্ডের বৈশিষ্ট হলোÑআনসিকিউরড, ফ্লোটিং রেট, কন্ডিশনাল-কনভার্টেবল, যা স্থানীয় সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচুয়াল ফান্ড, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, তালিকাভুক্ত ব্যাংক, সমবায় ব্যাংক, আঞ্চলিক রুরাল ব্যাংক, সংগঠন, ট্রাস্ট, স্বায়ত্তশাসিত করপোরেশনসহ অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকারীদের প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।
উল্লেখ্য, এ বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ উত্তোলন করে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের অ্যাডিশনাল টায়ার-১ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে। এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ লাখ টাকা। এ বন্ডের ট্রাস্টি এবং লিড অ্যারেঞ্জোর হিসেবে কাজ করছে যথাক্রমে এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেড এবং আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড।
এদিকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৪৬ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৭৭ পয়সা।
আর এর আগে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড। ওই সময় কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করে দুই টাকা ৫২ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ২৭ টাকা তিন পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে দুই টাকা ৫৮ পয়সা ও ২৫ টাকা ৪৯ পয়সা।
এদিকে, গতকাল ডিএসইতে কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ১৪ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ১৪ টাকা। ওইদিন কোম্পানিটির ৫৪ হাজার ৬০৪টি শেয়ার মোট ৬৫ বার হাতবদল হয়, যা বাজারদর সাত লাখ ৬০ হাজার টাকা। এইদিন শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৩ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৪ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ১০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১৫ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির এক হাজার ৫০০ কোটি অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ২১৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৯৭৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১২১ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার ৯০৫টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ, সরকারি শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ২০ দশমিক ২২ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর এক দশমিক শূন্য আট শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৪১ দশমিক ২২ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত পাঁচ দশমিক ৬৯ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে সাত দশমিক ২৪।