বন্ড ছাড়ার অনুমোদন পেল এনসিসি ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংক খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের বন্ড ছাড়ার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ৫০০ কোটি টাকার নন-কনভার্টেবল পারপেচুয়াল বন্ড ফ্লোটিং রেটে ছাড়ার অনুমোদন দিয়েছে শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিএসইসি। মূলত বন্ড ছেড়ে যে অর্থ সংগ্রহ করা হবে তা মূলধন হিসেবে গণ্য হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংকের ব্যাসেল-৩ কমপ্লায়েন্সের শর্তপূরণ সাপেক্ষে অ্যাডিশনাল টায়ার-১ (এটি-১) মূলধন হিসেবে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে এ অর্থ সংগ্রহ করা হবে। সংগৃহীত অর্থ ব্যাংক খাতের এ প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসার প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

এদিকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ ও দুই শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৩০ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা দুই পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৯৭ পয়সা ও ১৯ টাকা ১৯ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে চার টাকা ৬০ পয়সা, আগের বছর যা ছিল পাঁচ টাকা ৪৪ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। আর প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৮৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪০ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৯০ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ মার্চে ছিল ১৯ টাকা ৬১ পয়সা। আর এই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে তিন টাকা ৫৯ পয়সা, আগের একই সময়ে ছিল ৫৫ পয়সা লোকসান।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ বা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৩ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ১৩ টাকা ৪০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির এক কোটি ১০ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে আট লাখ ২৬ হাজার ৩৯৭টি শেয়ার মোট ১৫২ বার হাতবদল হয়। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৩ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৩ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ১১ টাকা থেকে ১৫ টাকায় ওঠানামা করে।

‘এ’ ক্যাটেগরির ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। দুই হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯২৭ কোটি ৩৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৯২৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ৯২ কোটি ৭৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯০৩ শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪০ দশমিক ৮৩ শতাংশ শেয়ার।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০