নিজস্ব প্রতিবেদক: ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের (এনসিসি ব্যাংক) ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, এনসিসি ব্যাংক ৫০০ কোটি টাকার নন-কনভার্টেবল পারপিচুয়াল বন্ড ফ্লোটিং রেটে ছাড়ার অনুমোদন পেয়েছে। গত আগস্টে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ব্যাংকটির বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দেয়। আর এবার বাংলাদেশ ব্যাংকও এনসিসি ব্যাংকের বন্ড ছাড়ার জন্য ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ দিয়েছে। অর্থাৎ বন্ড ছাড়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসি উভয়ের অনুমোদন পেল ব্যাংকটি। তবে এখনও বাকি রয়েছে বিনিয়োগকারীদের সম্মতি। আর এজন্য ব্যাংকটি আগামী ১৮ জানুয়ারি দুপুর ১২টায় বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) আয়োজন করেছে। ইজিএম-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৩ ডিসেম্বর।
মূলত বন্ড ছেড়ে যে অর্থ সংগ্রহ করা হবে তা মূলধন হিসেবে গণ্য হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংকের ব্যাসেল-৩ কমপ্লায়েন্সের শর্তপূরণ সাপেক্ষে অ্যাডিশনাল টায়ার-১ (এটি-১) মূলধন হিসেবে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে এ অর্থ সংগ্রহ করা হবে। সংগৃহীত অর্থ ব্যাংক খাতের এ প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসার প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
এদিকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ ও দুই শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৩০ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা দুই পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৯৭ পয়সা ও ১৯ টাকা ১৯ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে চার টাকা ৬০ পয়সা, আগের বছর যা ছিল পাঁচ টাকা ৪৪ পয়সা।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর চার দশমিক ৪১ শতাংশ বা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৪ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ১৪ টাকা ২০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির তিন কোটি ৪৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ২৪ লাখ ৬১ হাজার ৭৯১টি শেয়ার মোট ৪৯৭ বার হাতবদল হয়। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৪ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ১১ টাকা থেকে ১৫ টাকায় ওঠানামা করে।
‘এ’ ক্যাটেগরির ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। দুই হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৪৫ কোটি ৯২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার তিন কোটি তিন লাখ টাকা। কোম্পানিটির ৯৪ কোটি ৫৯ লাখ ২৬ হাজার ৪৮১ শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২১ দশমিক ৪০ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩৯ দশমিক ২৪ শতাংশ শেয়ার।