বন্ড ছাড়ার অনুমোদন পেল ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ৬০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, বিএসইসির ৭৫২তম কমিশন সভায় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ৬০০ কোটি টাকার অসুরক্ষিত, কন্টিনজেন্ট-কনভার্টেবল, ফ্লোটিং রেট, মুদারাবা পারপিচুয়াল বন্ড এর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। পারপিচুয়াল বন্ডটির কুপন হার ছয় থেকে ১০ শতাংশ, যা সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচুয়াল ফান্ড, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, তালিকাভুক্ত ব্যাংক, সমবায় ব্যাংক, আঞ্চলিক ব্যাংক, সংগঠন, ট্রাস্ট, স্বায়ত্তশাসিত করপোরেশনসহ অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকারীদেরকে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। উল্লেখ্য, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ উত্তোলন করে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের অতিরিক্ত টায়ার-১ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে। এ বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ লাখ টাকা। এ বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড কাজ করছে।

এদিকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৪০ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৮৭ পয়সা। আগের বছর একই সময় যা ছিল যথাক্রমে দুই টাকা তিন পয়সা ও ১৭ টাকা চার পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা তিন পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা চার পয়সা। ওই সময় মুনাফা করেছে ১৫৯ কোটি ছয় লাখ ১০ হাজার টাকা।

ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি ২০০৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৪৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯৪ কোটি ৮৭ লাখ ৬০ হাজার ২০৩টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে মোট শেয়ারের ৩৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে, প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগাকরীদের কাছে ২০ দশমিক ৩৮ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে দুই দশমিক শূন্য দুই শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৪ দশমিক ২৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পাটির শেয়ারদর এক দশমিক ১০ শতাংশ বা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৯ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৯ টাকা ২০ পয়সা। দিনজুড়ে ২৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৩৭টি শেয়ার মোট ৩৭৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর দুই কোটি ২৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৯ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৯ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর সাত টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১০ টাকা ২০ পয়সায় ওঠানামা করে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০