বন্ড ছাড়ার অনুমোদন পেল সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক: বন্ড ছাড়ার অনুমোদন পেয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি। গত বুধবার বিএসইসির ৭৫০তম সভায় ব্যাংকটির বন্ড ছাড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদন প্রাপ্ত এই বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, কন্টিনজেন্ট-কনভার্টেবল, ফ্লোটিং রেট, মুদারাবা পারপিচুয়াল বন্ড। স্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, বিভিন্ন ফান্ড, করপোরেটসসহ অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকারীদের প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বন্ডটি ইস্যু করা হবে। বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ উত্তোলন করে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক টায়ার-ওয়ান ক্যাপিটাল বেস শক্তিশালী করবে। এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ লাখ টাকা। বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করছে ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং ম্যানডেটেড লিড অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড ও প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ১২ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ১২ টাকা ৪০ পয়সা। দিনজুড়ে এক লাখ ৮০ হাজার ৪১২টি শেয়ার ৮৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর ১২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১২ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৫ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৩৮ কোটি ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৭৯৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ৯৩ কোটি ৮০ লাখ আট হাজার ৪২৪ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩০ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৯ দশমিক ২০ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং বাকি ১৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।

সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন এবং বাজারদর ভিত্তিতে মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) সাত দশমিক ২৫ এবং অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং বাজারদরের ভিত্তিতে ১২ দশমিক শূন্য আট।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল ব্যাংক খাতের এ কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল এক টাকা ৭১ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছিল ১৯ টাকা ৩৮ পয়সা। এর আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৯৭ পয়সা ও ১৯ টাকা ৪৪ পয়সা। তবে ২০১৮ সালে ব্যাংকটি মাত্র ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। ২০১৯ সালে ব্যাংকটির মুনাফা হয় ১৫২ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০