নিজস্ব প্রতিবেদক: মূলধন ঘাটতি পূরণে বন্ড ছাড়ার অনুমতি পাচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক। বর্তমানে ব্যাংকটিতে মূলধন ঘাটতির পরিমাণ দুই হাজার ২৮৬ কোটি টাকা। বিপুল পরিমাণ এ মূলধন ঘাটতি পূরণে বন্ড ছাড়ার অনুমতি চেয়ে ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে ব্যাংকটি। এ পরিপ্রেক্ষিতেই ব্যাংকটিকে বন্ড ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ-সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ব্যাংকটাকে যখন রেখেছি, টিকিয়ে রাখতে হবে। ব্যাংকটি আর্থিকভাবে দুরবস্থার মধ্যে রয়েছে। বর্তমানে মূলধন ঘাটতি বেড়ে গেছে। মূলধন ঘাটতি কমানোর জন্য কিছু একটা করতে হবে, তাই আমরা বন্ড দেবো। কতটা দেবো এখনও ঠিক করিনি। তবে মূলধন ঘাটতির পুরোটা মেটানো সম্ভব হবে না।’
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, মূলধন ঘাটতি পূরণে দুই হাজার ৬০০ কোটি টাকার ২৬টি সুদমুক্ত বন্ড ছাড়ার প্রস্তাব দিয়েছে বেসিক ব্যাংক। প্রতিটি বন্ডের অভিহিত মূল্য হচ্ছে ১০০ কোটি টাকা। বেসিক ব্যাংকের প্রস্তাবিত বন্ডের নাম হচ্ছে ‘বেসিক ব্যাংক রি-ক্যাপিটালাইজেন বন্ড’। বন্ডের মেয়াদকাল হবে ১০ থেকে ২০ বছর। এর মধ্যে ১০ ও ১৫ বছরমেয়াদি বন্ডগুলোর মূল্য হবে ৮০০ কোটি টাকা করে। আর ২০ বছরমেয়াদি বন্ডটি হবে এক হাজার কোটি টাকার।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে বেসিক ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি পূরণে সরকারের পক্ষ থেকে তিন দফায় দুই হাজার ৩৯০ কোটি টাকা পুনঃঅর্থায়ন করা হয়েছিল। প্রথমবার ২০১৪ সালে দুই দফায় ৭৯০ কোটি টাকা এবং ৪০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়। গত বছর দেওয়া হয়েছিল আরও এক হাজার ২০০ কোটি টাকা।