নিজস্ব প্রতিবেদক:বন্ড ছেড়ে ১৫০ কোটি সংগ্রহ করবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি ১৫০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়বে। বন্ডটি আংশিক রূপান্তরযোগ্য, অর্থাৎ এর অংশবিশেষ শেয়ারে রূপান্তর করা যাবে। বন্ডের মেয়াদ হবে ৫ বছর। একইসঙ্গে এর মেয়াদ শেষে সম্পূর্ণ অবসায়ন হবে। আলোচিত বন্ডটি হবে কুপনযুক্ত। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময় পর পর বন্ডধারীকে প্রাপ্য সুদ পরিশোধ করা হবে। আর এর সুদের হার হবে ভাসমান। প্রতি ৬ মাস পর পর বন্ডধারীকে প্রাপ্য সুদ প্রদান করা হবে। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে এই বন্ড বরাদ্দ করা হবে। আর বন্ডটির মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ আংশিক ব্যাংক ঋণ পরিশোধে ব্যয় করবে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন সাপেক্ষে বন্ড ইস্যু-সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। বন্ড ইস্যুর বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য আগামী ৩১ জুলাই বেলা ১২টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করেছে। আর এ-সংক্রান্ত রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৫ জুলাই।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে শেয়ারদর ৭ দশমিক ৫১ শতাংশ বা ৮ টাকা ৮০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১০৮ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৩০ লাখ ২৭ হাজার ১২০টি শেয়ার মোট চার হাজার ৯২৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩৩ লাখ ৭৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর ১০৬ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১১৬ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়। গত এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ২৬ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ১৩২ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ২০২২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০৭ কোটি ৪১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৫০ কোটি ২১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১০ কোটি ৭৪ লাখ ১৬ হাজার ২১৭টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ১৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ২৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে চলতি আর্থিক বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৮৫ পয়সা। আর প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাস শেষে (জুলাই ২০২২-মার্চ, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৫৭ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল ২ টাকা ৩৯ পয়সা। তিন প্রান্তিক শেষে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৮৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২ টাকা ১৩ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে (এনএভি) হয়েছে ৪০ টাকা ৯০ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩১ মার্চে ছিল ৪৩ টাকা ৪১ পয়সা।
৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৪২ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৪১ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৪৮ পয়সা।