Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 5:52 pm

বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট সেবা অত্যাবশ্যকীয় ঘোষণার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: এক দশক আগেও তৈরি পোশাক রপ্তানিতে চট্টগ্রামের ৪৯ শতাংশ অংশগ্রহণ থাকলেও গ্যাস, বিদ্যুৎ সংকট ও অবকাঠামোগত বিভিন্ন সমস্যার কারণে তা ১৪ শতাংশে নেমে এসেছে। আর বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট সেবা কার্যক্রমে বিভিন্ন অংশীজনের কারণে সেবা বিঘœ হয়। এতে চট্টগ্রামের অংশগ্রহণ আরও কমবে। তাই বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট সেবা অত্যাবশ্যকীয় ও জরুরি সেবা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন পোশাক শিল্প মালিকরা।

গতকাল শনিবার দুপুরে খুলশীর বিজিএমইএ ভবনের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় বিজিএমইএ সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, বন্দর কাস্টমস পরিবহনসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের ধর্মঘটের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত করার অপচেষ্টা বন্ধ করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ব্র্যান্ডিং ছাড়া পোশাকশিল্প টিকিয়ে রাখা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক এ শিল্প এগিয়ে নিতে। শ্রমঘন শিল্প হওয়ায় আমরা ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছি।

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর ও আনোয়ারা ইকোনমিক জোনে পোশাকশিল্পের কারখানা নির্মাণে স্বল্পমূল্যে ভূমি বরাদ্দ, সহজ ও স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ .দেয়া, চট্টগ্রামে কিছু ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় স্থাপন, চট্টগ্রাম আমদানি রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের দপ্তর, বস্ত্র অধিদপ্তর, ইপিবি, বিনিয়োগ বোর্ড, জয়েন্ট স্টক কোম্পানিকে সমস্যা সমাধানে সিদ্ধান্ত নিতে ক্ষমতায়ন ও শাহ আমানত বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক কানেকটিভিটি বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, প্রণোদনার টাকা পরিশোধ করা শুরু করেছি। ওই টাকায় শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেছিলাম।

লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত চার হাজার ৭০০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২ হাজার ৭৩৪টি বন্ধ হয়ে গেছে। বাকি ১ হাজার ৯৬৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১ হাজার ৬০০টি আমদানি-রপ্তানি কাজে নিয়োজিত। চট্টগ্রামে ৬৭৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বন্ধ ৩৯৮টি, আমদানি-রপ্তানি কাজে নিয়োজিত আছে ১৯০টি। করোনা পরিস্থিতিতে গত মার্চ থেকে আগস্টের মধ্যে ঢাকায় ২৮১টি ও চট্টগ্রামে ৩০টি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেনÑবিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি নাসিরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, মঈনুদ্দিন আহমেদ মিন্টু, সাহাবুদ্দিন আহমেদ, এসএম আবু তৈয়ব, সহ-সভাপতি রকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক এমএ সালাম, এম আহসানুল হক, এএম শফিউল করিম খোকন, তানভীর হাবিব, মেরাজ ই মোস্তফা কায়সার, মো. হাসান জেকি প্রমুখ।

এমএ সালাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রণোদনা দেয়ায় আমরা কভিডকালে শ্রমিকদের বেতন দিতে পেরেছি। ভিয়েতনাম ও ভারতের চেয়ে আমাদের সরকার পোশাকশিল্প নিয়ে অনেক দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, বে-টার্মিনাল হলে তৈরি পোশাক শিল্পে বিপ্লব ঘটাবে।

এসএম আবু তৈয়ব বলেন, আমরা দুর্নীতি করতে চাই না। দুর্নীতির শিকারও হতে চাই না। দেশের সব ক্ষেত্রে অটোমেশন চাই। পোশাক শিল্পে লুকানোর মতো কোনো জায়গা নেই। ইজি অব ডুয়িং বিজনেস চাই।