নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: প্রতি বছর দেশের আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ছে। এ বাণিজ্যিক কার্যক্রমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছে। এর অংশ হিসেবে প্রধান সমুদ্রবন্দরের বহরে যুক্ত হতে যাচ্ছে দ্রুত ও নিরাপদে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সর্বাধুনিক দুটি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন (কিউজিসি) ও তিনটি রাবার টায়ারড গ্যান্ট্রি ক্রেন (আরটিজি)। এর ফলে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে গতি বাড়বে বলে জানিয়েছেন বন্দরের কর্মকর্তা ও ব্যবহারকারীরা।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরের সিসিটিতে প্রথম গ্যান্ট্রি ক্রেন যুক্ত হয় ২০০৫ সালে। এরপর ২০১৭ ও ১৮ সালে এনসিটি ২, ৩ ও ৪ নম্বর বার্থের জন্য গ্যান্ট্রি ক্রেন আনা হয়। এর মধ্যে বন্দরের সিসিটিতে চারটি এবং এনসিটিতে ১০টি কিউজিসি অপারেশনে আছে। আর আরটিজি আছে ৩৯টি। সময়ের সঙ্গে বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর অংশ হিসেবে সমুদ্রবন্দরের বহরে যুক্ত হলো দ্রুত ও নিরাপদে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সর্বাধুনিক দুটি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন (কিউজিসি) ও তিনটি রাবার টায়ারড গ্যান্ট্রি ক্রেন (আরটিজি)।
গত শনিবার এসব কনটেইনার হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট নিয়ে আসা ‘জেন হুয়া ১২’ জাহাজটি দুটি শক্তিশালী টাগবোটের সহায়তায় বিশেষ ব্যবস্থায় বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের ৫ নম্বর বার্থে আনা হয়। এরমধ্যে নতুন দুটি কিউজিসি এনসিটি-৫ বার্থে বসানো হবে। অন্যদিকে নতুন তিনটি আরটিজি রেফার ইয়ার্ডের অপারেশনে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চীনে তৈরি নতুন দুটি কিউজিসি ও তিনটি আরটিজি আনলোড, ফিটিং, ট্রায়াল শেষে যত দ্রুত সম্ভব এগুলো অপারেশনে যাবে। এসব কনটেইনার হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্টের কারণে বন্দরের কার্যক্রম আরও নিরাপদ ও গতিশীল হবে। এর ফলে বন্দরের জাহাজ ও কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে গতি বাড়বে।
বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, গত এক দশকে শিপ টু শোর কি গ্যান্ট্রি ক্রেন, মোবাইল হারবার ক্রেন এবং বারার টায়ারড গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ বিভিন্ন ধরনের ৩৯০টি কার্গো ও কনটেইনার হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হয়েছে। পাশাপাশি দ্রুত সময়ে বন্দরের বহরে নতুন দুটি টাগ বোট যুক্ত হবে। আরও বেশ কিছু যন্ত্রপাতি সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান। ফলে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মেরিটাইম ট্রেডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা সম্ভব হয়েছে।
