চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

বন্দর চ্যানেলে চলছে অবৈধ জলযান!

সাইফুল আলম, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দরের চ্যানেলে লাইটার জাহাজ, অয়েল ট্যাংকার, কোস্টাল জাহাজ, শিপিং ট্রলারের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সুইং মুরিং এবং অয়েল মুরিং সুবিধা দেয়। এর বিপরীতে বন্দর কর্তৃপক্ষকে নির্দিষ্ট ফি জমা দিতে হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এসব জলযান পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বন্দরের ফি জমা না দিয়ে অবৈধভাবে বন্দর চ্যানেলে চলাচল করছে। এতে একদিকে বন্দর প্রয়োজনীয় রাজস্ব আহরণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে বন্দর চ্যানেলকে ঝুঁকিপূর্ণ করছে।

দেশের অর্থনীতির প্রাণপ্রবাহ চট্টগ্রাম বন্দরের চ্যানেল। এ চ্যানেল দিয়ে সিংহভাগ আমদানি-রপ্তানিবাহী পণ্য আনা-নেয়া হয়। আর চ্যানেলে লাইটার জাহাজ, অয়েল ট্যাংকার, কোস্টাল জাহাজ, শিপিং ট্রলারসহ চলাচলকারী জলযানগুলোর সুবিধার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সুইং মুরিং এবং অয়েল মুরিং স্থাপন করা হয়। এর বিপরীতে বন্দর কর্তৃপক্ষকে নির্দিষ্ট হারে ফি নেয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এসব জলযান পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বন্দরের নিয়মিত ফি জমা দেয় না। উল্টো অবৈধভাবে এসব লাইটার জাহাজ, অয়েল ট্যাংকার, কোস্টাল জাহাজ, শিপিং ট্রলার বন্দর চ্যানেলে চলাচল করছে। এতে একদিকে বন্দর প্রয়োজনীয় রাজস্ব আহরণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে বন্দর চ্যানেলকে ঝুঁকিপূর্ণ করছে।

জানা যায়, বহির্নোঙরে মাদার ভেসেল থেকে ক্লিংকার, কয়লা, পাথর, চাল, ডাল, তেলসহ বিভিন্ন পণ্য ছোট জাহাজের (লাইটার জাহাজ) মধ্যে খালাস করে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে পাঠানো হয়। এর মধ্যে পণ্য পরিবহনে এক হাজারও বেশি লাইটার জাহাজ, ২১২টি অয়েল ট্যাংকার, ১২৪টি কোস্টাল জাহাজ এবং ২২৪টি শিপিং ট্রলার আছে।

বন্দরের ট্যারিফ বুক অনুসারে, সমুদ্রগামী নয় এমন জাহাজ ও ট্রলারের ক্ষেত্রে ফিক্সড মুরিং এক হাজার ৩৯০ ইউএস ডলার এবং সুইং মুরিংয়ে হাজার ডলার, যা ২৪ ঘণ্টায় একদিন হিসাবে চার্জ করা হবে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি কনজারভেটর ফরিদুল আলম কর্তৃক প্রচারিত এক সতর্ক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের চ্যানেলে লাইটার জাহাজ, অয়েল ট্যাংকার, কোস্টাল জাহাজ, শিপিং ট্রলারের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সুইং মুরিং এবং অয়েল মুরিং সুবিধা দেয়, যার বিপরীতে বন্দর কর্তৃপক্ষকে নির্দিষ্ট ফি জমা দিতে হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এসব জলযানগুলো বন্দরের ফি জমা না দিয়ে অবৈধভাবে বন্দর চ্যানেলে চলাচল করছে। এ বিষয়ে জলযানগুলো বারবার তাগাদা দেয়া হলেও জলযানগুলো মালিকপক্ষ সাড়া দিচ্ছে না। আমরা ২১ দিন সময় দিলাম। এরপর আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

এ বিষয়ে লাইটার জাহাজ মালিকদের সংগঠন ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব রশিদ খানের সঙ্গে গতকাল যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘জাহাজপ্রতি প্রতিদিন ৫০০ টাকা মুরিং ফি নেয়ার বিধান আছে। তবে শুধু যে আমরা মুরিং করি তা নয়, এমনকি মাছ ধরার নৌকাগুলো তো মুরিং করে। তবে আমরা এ ধরনের চিঠি পেয়েছি। আমাদের প্রায় লাইটার জাহাজ মালিক ফি পরিশোধ করেছেন। কিছু বাকি আছে। আশা করছি সবাই পরিশোধ করবে। আর যারা করেনি তাদের তো নিয়মিত জরিমানা করছে সংশ্লিষ্ট পক্ষ।’

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০