শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইরানে বন্দি পাঁচ মার্কিন নাগরিককে মুক্ত করতে তেহরানের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তির প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। খবর: রয়টার্স ও আল জাজিরা।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি এ বিষয়ে ইরানের সঙ্গে বোঝাপড়ায় পৌঁছাতে পেরেছি। প্রক্রিয়া অনুযায়ী সব এগোচ্ছে। আপনাদের এখনই কোনো সুনির্দিষ্ট সময় দিতে পারছি না। তবে সবকিছুই ট্র্যাকে রয়েছে।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে জানা যায়, মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় দক্ষিণ কোরিয়ায় আটকে থাকা ছয় বিলিয়ন বা ৬০০ কোটি ডলার হাতে পাওয়ার বিনিময়ে পাঁচ নাগরিককে মুক্তি দিতে কাজ করছে ওয়াশিংটন-তেহরান।
যদিও চুক্তিটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন মার্কিন কর্মকর্তারা। তাদের মুক্তির অংশ হিসেবে কারাগার থেকে গৃহবন্দিতে নিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপকে গত সপ্তাহে স্বাগত জানিয়েছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তবে পাঁচজন তখনও বাড়িতে না পৌঁছানোয় উদ্বেগ জানান তিনি।
ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের খান্নানি বলেছেন, বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়ার কোনো সময় নির্ধারণ করা হয়নি। তবে সবকিছু মিলিয়ে দুমাস সময় লাগতে পারে।
দুই দেশের বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়াধীন চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। কিন্তু তাতে দুই দেশের মৌলিক বা কূটনৈতিক সম্পর্কের কোনো পরিবর্তন আসবে না বলে মনে করছেন তারা।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দক্ষিণ কোরিয়ায় পেট্রোলিয়াম বিক্রি করে ইরান। প্রাপ্য অর্থ কোরিয়ায় জব্দ করে ট্রাম্প প্রশাসন। ওই অর্থ ছাড় পেতে ওয়াশিংটনকে আহ্বান জানিয়ে আসছে তেহরান।
বন্দিদের মধ্যে রয়েছেন ইরানি-আমেরিকান ব্যবসায়ী সিয়ামক নামাজি (৫১), এমাদ শারগি (৫৮, পরিবেশবিদ মোরাদ তাহবাজ (৬৭)। মোরাদ তাহবাজ যুক্তরাজ্যেরও নাগরিক। বাকি দুজনের নাম প্রকাশ করা হয়নি।