নিজস্ব প্রতিবেদক: হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স বিতরণের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশের দুই হাজার ৮৮৭ জন এজেন্টের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন ওই এজেন্টদের নামে অন্য ১৭টি মোবাইল ব্যাংকিংয়ে কোনো অ্যাকাউন্ট থাকলে সেগুলোও বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ-সংক্রান্ত চিঠি ১৭টি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, গত মাসের মাঝামাঝি বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিকাশের দুই হাজার ৮৮৭টি এজেন্টের কার্যক্রম স্থগিতের (বন্ধ) নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সি ইউনিট (বিএফআইইউ)। একই সঙ্গে এজেন্টদের এক হাজার ৮৬৩ হিসাব বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়।
অবৈধভাবে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) বিতরণের সঙ্গে যুক্ত ছিল এসব হিসাব। সে কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমছে। যার প্রভাব পড়ছে পুরো অর্থনীতিতে। এছাড়া বেনামে হিসাব পরিচালনা করায় ৮০ হাজার এজেন্টের ছয় লাখ হিসাবের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী এসব সিদ্ধান্ত দেয় বিএফআইইউ।
বিএফআইইউ সূত্র জানায়, দুই হাজার ৮৮৭টি এজেন্ট অ্যাকাউন্ট মূল টার্গেট। বিকাশের অ্যাকাউন্ট দিয়ে লেনদেন করা হয়েছে। তাদের যদি অন্য কোনো অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে সেই অ্যাকাউন্ট দিয়েও রেমিট্যান্স হুন্ডি করা হয়েছে এটাই স্বাভাবিক। তাই ওই এজেন্টের নামে অ্যাকাউন্ট থাকলে তা বন্ধ করে বিএফআইইউকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহে তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশে ১৮টি মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশ ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের রকেট সবচেয়ে জনপ্রিয়। এছাড়া ইউক্যাশ, শিওরক্যাশ, মাইক্যাশ, এমক্যাশ, ফার্স্ট পে, ওকে ব্যাংকিং, হ্যালো, মোবাইল মানি ইত্যাদি।
Add Comment