বন্যায় কিশোরগঞ্জের ১৫ গ্রামে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

শেয়ার বিজ ডেস্ক: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অব্যাহত ভারী বৃষ্টিপাতে কিশোরগঞ্জের ২টি উপজেলার ১৫টি গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। গতকাল কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। খবর: ঢাকা পোস্ট।

কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ ও ইটনা হাওরের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চৌগাংগা ও নিয়ামতপুর অফিসের আওতাধীন শান্তিপুর, চারিতলা, বালিয়াপাড়া, খাগশ্রী, সুতারপাড়া, বালিখলা, পাঁচকাহনিয়া, বড়িবাড়ি, এনসইলা, দিয়ারকান্দি, বাদলা, কুর্শি, শিমুলবাগ, টিয়ারকোনা, চং নোয়াগাঁও এলাকায় পানি বৃদ্ধির ফলে লাইনের ক্লিয়ারেন্স কমে যাওয়ার নিরাপত্তার স্বার্থে শনিবার রাত থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ শনিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বন্যার কারণে কিশোরগঞ্জের দুইটি উপজেলার ১৫টি গ্রামের বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ ১৫টি গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ১০ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ রয়েছে। পানি কমে গেলেই আবার বিদ্যুৎ লাইন চালু করা হবে।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টাতেই কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলাগুলোর অন্তত ৪০টি ইউনিয়নের ৩০ শতাংশ বাড়ি-ঘরে পানি উঠে গেছে। প্লাবিত হয়েছে রাস্তাঘাট। কৃষকেরা তাদের গবাদিপশু নিয়েও চরম বিপাকে আছে। বন্যা আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। দুর্গত এলাকার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যাকবলিত গ্রামগুলোতে ইতোমধ্যে ১৪৪ টন চাল বরাদ্দ করে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম বলেন, বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শন করতে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে হাওর অঞ্চল ঘুরে দেখেছি। হাওরের অনেক এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। সেখানকার লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত দুই হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ১৪৪ মেট্রিক টন চাল ও নগদ আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০