Print Date & Time : 27 June 2025 Friday 1:05 pm

বন্যায় ১৭ জেলায় সাড়ে ১৪ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমানে ১৭টি জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। বন্যায় এ পর্যন্ত ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ৮২৭ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যাকবলিত জেলাগুলো হচ্ছে রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, মানিকগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, সিলেট, বগুড়া, মাদারীপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মুন্সীগঞ্জ ও নেত্রকোনা।

গতকাল সচিবালয়ে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, ভারতের মেঘালয়, চেরাপুঞ্জি, আসাম ও ত্রিপুরা এবং চীন ও নেপালের পানি এসে বাংলাদেশে এই বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী বন্যা ২৩ জেলায় বিস্তৃতি লাভ করবে এবং তা আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত থাকবে বলে জানান তিনি।

তিনি জানিয়েছেন, দেশের ১৫ জেলায় চলমান বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও জরুরি মানবিক সহায়তা কার্যক্রম তদারকিতে অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার ১০ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এসব জেলায় নতুন করে আরও ৬০ লাখ টাকা ছাড় করা হয়েছে। এ অর্থ দিয়ে রান্না করা খাবার ও রুটি তৈরি করে বন্যার্ত মানুষের মধ্যে বিতরণ করতে বলা হয়েছে। এসব জেলা প্রশাসনকে সার্বক্ষণিকভাবে সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নাটোর, নওগাঁ, মুন্সীগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও ঢাকা জেলার নিন্মাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র আমাদের আরও জানিয়েছে, পানি ১৭ জুলাই পর্যন্ত সর্বোচ্চ বাড়বে। সেই বৃদ্ধিটা আরও এক থেকে দুই সপ্তাহ স্থায়ী হবে।

তিনি বলেন, বন্যা-আক্রান্ত জেলাগুলোয় আট হাজার ২১০ টন চাল, দুই কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৭৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, গোখাদ্য কেনার জন্য ৪৮ লাখ টাকা এবং শিশুখাদ্য কেনার জন্য ৪৮ লাখ টাকা দিয়েছি। কোথাও কোথাও নদীভাঙনে ঘর ভেঙেছে। ঘর মেরামতে ৩০০ বান্ডিল ঢেউটিন ও ৯ লাখ টাকা নগদ দিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. মোহসীন উপস্থিত ছিলেন।