নিজস্ব প্রতিবেদক: বন্যাদুর্গতদের ত্রাণ সহায়তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে না দাঁড়িয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতেই ব্যস্ত তারা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন অভিযোগ করেন। গতকাল তিনি নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধনের সময় এমন কথা বলেন।
তিনি বলেন, এমন একটি সময়, বন্যা হয়েছে, দেশের মানুষের প্রত্যাশা ছিল সরকার পাশে দাঁড়াবে। দুর্ভাগ্যজনক যে তারা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ায়নি, তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে অবৈধ ক্ষমতাকে কীভাবে টিকিয়ে রাখবে।
বন্যাদুর্গত অঞ্চলের অবস্থা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সেখানে মানুষ ক্ষুধার্ত, তাদের দাঁড়ানোরও জায়গা নেই। আজকে ছবি এসেছে পত্রিকায়, দিনাজপুর এলাকায় মাটিও পাওয়া যাচ্ছে না, সব ডুবে গেছে। গতকাল সিরাজগঞ্জের খবর পেয়েছি, কোনো ত্রাণসামগ্রী সেখানে পৌঁছায়নি। এই সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করে, সবসময় দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ায়। আমি অনুরোধ জানাব, শুধু যুবদল নয়, বিএনপির সবাই দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ান। দেশের এই ‘দুঃসময়ে’ বিএনপি দুর্গতদের পাশে থাকবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে রাষ্ট্রকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টা করছে। সাধারণত সংবিধানের রায় যখন আসে, তখন কোনো একটা দল সংক্ষুব্ধ হয়। এ রায়ে আওয়ামী লীগ সংক্ষুব্ধ হয়েছে।
যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় ত্রাণ কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী আবদুল্লাহ আল নোমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, য্বুদল ‘কেন্দ্রীয় ত্রাণভাণ্ডার’ গঠন করে উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ পাঠাবে। চাল, ডাল, আলু, লবণ, প্রয়োজনীয় ওষুধসহ শুকনা খাবার প্যাকেট করে দুর্গতদের মধ্যে বিতরণ করবে। অন্যদের মধ্যে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, যুবদলের নুরুল ইসলাম নয়ন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপস্থিত ছিলেন।