শেয়ার বিজ ডেস্ক: টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাতের পর সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে নেপাল ও ভারতে মৃতের সংখ্যা প্রায় ২০০ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। দেশ দুটিতে প্রতিদিনই নতুন মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশ দুটির সরকারি কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর: এনডিটিভি, রয়টার্স, দ্য স্ট্রেইট টাইমস।
নেপাল সরকারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে। ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত কয়েক দিনের বন্যা ও ভূমিধসে সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৫ জন। আর কেরালার রাজ্য কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, সেখানকার চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে এ পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, নেপালে টানা তিন দিনের ভারী বর্ষণের পর সেখানে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। গত বুধবার দেশটির বন্যাকবলিত এলাকা থেকে নতুন করে ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা দিল কুমার তামাং বলেন, ভারতের সীমান্তসংলগ্ন নেপালের পূর্বাঞ্চলীয় জেলা পঞ্চথারে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া পশ্চিম নেপালের ইলমে ১৩ জন ও দোতিতে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্যাজনিত পরিস্থিতিতে আরও ২২ জন আহত হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ২৬ জন।
ভারতের উত্তরাখন্ডের রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার সকালে নৈনিতালে ভারী বর্ষণের পর বেশ কয়েকটি ভূমিধস হয়েছে। এদিন সাতটি আলাদা ঘটনায় অঞ্চলটিতে কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হন। স্থানীয় কর্মকর্তা প্রদীপ জৈন বলেন, ভূমিধসের ঘটনায় একই পরিবারের পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছে। উত্তরাঞ্চলীয় আলমোরা জেলায় অপর একটি ভূমিধসের ঘটনায় একটি বাড়ির পাঁচ বাসিন্দা প্রাণ হারান।
ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত সোমবার উত্তরাখন্ডের বেশ কয়েকটি এলাকায় ৪০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পরে সেসব এলাকায় বন্যা ও ভূমিধস হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উপদ্রুত এলাকার স্কুলগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
আবহাওয়াবিদেরা জানিয়েছেন, রাজ্যের অনেক বাঁধে পানি বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। বড় নদীগুলোর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় স্থানীয় লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার কাজ করছে কর্তৃপক্ষ।