নিজস্ব প্রতিবেদক: যেকোনো মূল্যে দেশের বনভূমি অবৈধ দখলমুক্ত করা হবে বলে হুশিয়ার করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘বন দখলকারী এবং দখলে সহায়তাকারী উভয়ের বিরুদ্ধেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বন বিভাগের যে সব কর্মী বন রক্ষায় আহত হবেন তাদের পুরস্কৃত করা হবে। অন্যদিকে বন দখলে সহায়তা করার অভিযোগে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট সবার ঐকান্তিক সহযোগিতায় বনভূমি পুনরুদ্ধারে সফল হবে সরকার।’
গতকাল ‘বন পুনরুদ্ধার: উত্তরণ ও কল্যাণের পথ’ প্রতিপাদ্য ধারণ করে আন্তর্জাতিক বন দিবস-২০২১ উপলক্ষে বন অধিদপ্তরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব আহমদ শামীম আল রাজী, বন অধিদপ্তরের বন সংরক্ষক হোসাইন মুহম্মদ নিশাদ বক্তব্য দেন। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের অধ্যাপক ড. মো. কামাল হোসাইন এবং উপ-প্রধান বন সংরক্ষক ও সুফল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায়।
সভায় মন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে জবরদখল করা সংরক্ষিত বনভূমির মধ্যে ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ দখলমুক্ত করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকারের নানাবিধ কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে সুন্দরবনের বৃক্ষ সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে। ২০১৯ সালে প্রকাশিত জাতীয় বন জরিপের তথ্যমতে সুন্দরবনে মোট কার্বন মজুতের পরিমাণ ১৩৯ মিলিয়ন টন, যেখানে ২০০৯ সালে পরিচালিত জরিপ অনুসারে এর পরিমাণ ছিল ১০৭ মিলিয়ন টন।’
মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘বৃক্ষরোপণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগ অনুসরণ করে জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার দেশের বিদ্যমান বনাঞ্চল সংরক্ষণ এবং বনায়ন কার্যক্রম জোরদার করেছে।’
উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেন, ‘উন্নয়নের নামে বৃক্ষনিধন এবং বনের মধ্যে স্থাপনা নির্মাণ নিরুৎসাহিত করছে তার মন্ত্রণালয়।’ বনরক্ষায় নিহত বনকর্মীদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘বনভূমি অবৈধ দখলমুক্ত করতে সরকারের সফলতা আছে।’
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘এক ইঞ্চি বনের জমিও বেহাত বা জবরদখল অবস্থায় রাখা হবে না।’ এ লক্ষ্যে বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বন পুনরুদ্ধারে অবদান মূল্যায়ন করা হবে বলে তিনি জানান। অনুষ্ঠানে সামাজিক বনায়নে পাঁচজন উপকারভোগীর মাঝে ১৫ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
