বয়ঃসন্ধিতে একটি শিশুর শরীর প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে রূপান্তরিত হওয়া শুরু করে এবং প্রজননে সক্ষমতা লাভ করে। মস্তিষ্ক থেকে গোনাডে (ড়েহধফ) হরমোন সংকেত যাওয়ার মধ্য দিয়ে এর সূচনা ঘটে। অর্থাৎ বয়ঃসন্ধির এ সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় গোনাড নানা ধরনের হরমোন উৎপাদন শুরু করে। ফলে মস্তিষ্ক, অস্থি, পেশি, ত্বক, স্তন ও জনন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বৃদ্ধি শুরু হয়।
বয়ঃসন্ধির মধ্যভাগে এ বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়। সম্পূর্ণ হয় বয়ঃসন্ধি শেষ হওয়ার মধ্য দিয়ে। বয়ঃসন্ধি শুরুর আগে ছেলে ও মেয়ের মধ্যে পার্থক্য অনেকটা যৌনাঙ্গের ভেতর সীমাবদ্ধ থাকে। বয়ঃসন্ধি শুরু হলে ধীরে ধীরে দৈহিক গঠনের আকার-আকৃতি, গুরুত্ব ও কাজে প্রধান পার্থক্যগুলো প্রতীয়মান হয়। তাই বলা যায়, নারী ও পুরুষ উভয়ের জীবনে বিভিন্ন সময়ে যৌবনের সঞ্চার ঘটে থাকে।
-নারীর যৌবন আগমন পুরুষের তুলনায় ঘটে আগে। গ্রীষ্মপ্রধান দেশে নারীর যৌবনের আগমন ঘটে ১৪ থেকে ১৬ বছর বয়সে। শীতপ্রধান দেশে ১৮ থেকে ২০-এর মধ্যে। গ্রীষ্মপ্রধান দেশে পুরুষের যৌবন আগমন ঘটে ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। শীতপ্রধান দেশে তা ঘটে ২২ থেকে ২৫ বছর বয়সে।