প্রতিনিধি, বরগুনা: বরগুনার আমতলী উপজেলায় সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পড়ার পর ৯ জনের মরদেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে উপজেলার চাওড়া-হলদিয়া হাটসংযোগ সেতুতে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে আমতলী থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন তপু জানান।
ঘটনাস্থলে থাকা আমতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার ফোরকান বলেন, ‘মাইক্রোবাসের যাত্রীরা একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। এখন পর্যন্ত নারী-শিশুসহ ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। সেতুটি উপজেলার চাওড়া ইউনিয়ন ও হলদিয়া ইউনিয়নকে সংযুক্ত করেছে বলে জানান স্থানীয়রা।’
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পড়ার ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে সাতটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। মাইক্রোবাসটি এখনও পানির নিচে।’
অপরদিকে, হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান (মিন্টু মল্লিক) জানিয়েছেন, ‘গাড়িটি ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি পার হতে দিয়ে ভেঙে খালে পড়ে ডুবে যায়। আমরা এখন পর্যন্ত ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। গাড়িতে থাকা ব্যক্তিদের ভাষ্য অনুসারে আরও তিনজন গাড়িটিতে ছিল। ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় প্রশাসন এবং বাসিন্দারা খালে ডুবে যাওয়া গাড়ি ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে কাজ করছেন। হতাহতদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, ‘গতকাল আমতলী উপজেলা চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে স্কুলশিক্ষক মনিরুল ইসলামের বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে। মনিরুলের শ্বশুরবাড়ি মাদারীপুরে। সেখান থেকে মাইক্রোবাসে করে অতিথিরা এসেছিলেন। আজ (শনিবার) দুপুরে গাড়ি নিয়ে তারা ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। মাইক্রোবাসটির সঙ্গে ৬-৭ জন যাত্রী নিয়ে আরেকটি ইজিবাইক ছিল। দুটি গাড়ি সেতুটি পার হতে গিয়ে ভেঙে নিচে পড়ে যায়। ইজিবাইকের যাত্রীরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও মাইক্রোবাসের মধ্যে ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করতে পেরেছি। এখনও তিনজন নিখোঁজ রয়েছে।’ আমতলী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার নুর হোসেন ৯ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে, আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। নিখোঁজদের উদ্ধার করতে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা কাজ করছেন।’