শেয়ার বিজ ডেস্ক: বরগুনায় শোক দিবসের আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় আলোচনায় আসা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম আলীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে বরিশাল ডিআইজি কার্যালয়ে নিযুক্ত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘বরগুনায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সঠিক তদন্তের স্বার্থে ও সার্বিক বিবেচনায় মহররম আলীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
সোমবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বরগুনা শিল্পকলায় আয়োজিত আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও পদপ্রাপ্তদের সমর্থকদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ছোড়া ইটের আঘাতে পুলিশের গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ভেঙে যাওয়া গ্লাসের ক্ষতিপূরণ ও অপরাধীর বিচারের কথা জানান। এর পরও তার সামনেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম আলীর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়।
জাতীয় শোক দিবসে বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সামনেই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী হাছান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সোমবার শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছিল। এ ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এসএম তারেক রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তবে তদন্তের বিষয়ে জানতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ও তদন্ত কমিটির প্রধান এসএম তারেক রহমানকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। এর আগে রাতে একটি শোকসভায় ‘পুলিশের উদ্দেশ্যই ছিল মারপিট করা’ বলে মন্তব্য করেন এমপি শম্ভু। এ সময় তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম আলীকে প্রত্যাহার ও তার বিচারের দাবি জানান।
এর পরপরই জেলা ছাত্রলীগ সংবাদ সম্মেলনে জানায়, এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততা ছিল না। কেউ সম্পৃক্ত থেকে থাকলেও সে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করে না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না। এ সময় জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান তারা।