ক্রীড়া ডেস্ক: জিতলেই কেবল টিকে থাকবে আশা। হারলেই বাদ। এমন এক সমীকরণের ম্যাচে সোমবার দারুণ খেললেন ইয়াসির আলি চৌধুরি ও মুশফিকুর রহিম। তাদের ব্যাটে ভর করে তাই লড়াইয়ের পুঁজি পায় বেক্সিমকো ঢাকা। তবে একটা সময় আফিফ হোসেনের ঝড়ের কারণে এ রান জয়ের জন্য যথেষ্ট মনে হচ্ছিলো না ঢাকার।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য শফিকুল ইসলাম ও মুক্তার আলির বোলিং নৈপুণ্যে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে ম্যাচ জিতে বরিশালকে বিদায় করে এ টুর্নামেন্টের কোয়ালিফাইয়ারে জায়গা করে নিলো ঢাকা। দিনের পরের ম্যাচে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যে পরাজিত দলটির বিপক্ষে ফাইনালে টিকিট পেতে মঙ্গলবার লড়বে মুশির দল। সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের এলিমিনেটর ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ৯ রানে হারিয়েছে বেক্সিমকো ঢাকা।
আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ঢাকা করে ৮ উইকেটে ১৫০। রান তাড়ায় ৯ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪১ রানে থামে বরিশালের ইনিংস। যে কারণে এ টুর্নামেন্টের কোয়ালিফাইয়ারে ওঠার আনন্দে মাতে মুশফিকুর রহিমের দল। ১৫১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বরিশালের শুরুটা দারুণ করেছিল দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সাইফ হাসান। কিন্তু ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই সাইফকে বোল্ড করে তাদের জুটি ভাঙেন পেসার শফিকুল।

এর এক ওভারই পরই সাজঘরের পথ ধরেন পারভেজ হোসেন ইমন। ঠিক সে সময় আফিফকে নিয়ে দলের হাল ধরেন তামিম। তৃতীয় উইকেটেপ তারা যোগ করেন ৩২ রান। কিন্তু দলের জন্য এ রান যথেষ্ট মনে হচ্ছিলো না তামিমের কাছে। যে কারণে ইনিংসের ১১তম ওভারে মুক্তার আলির করা শেষ বলে ছক্কা হাঁকাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু টাইমিংয়ে হেরফের করে বসেন এ বাঁহাতি। আর তাই সীমানায় আকবর আলির ক্যাচে পরিণত হয়ে ফেরেন সাজঘরে। তার আগে তামিমের ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ২২ রান। তামিম ফেরার পর বরিশালের রানের চাকা সচল রাখেন আফিফ।
এ তারকা এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন। এক পর্যায়ে ৩২ বলে ৩ চার ও ৪ ছয়ে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। কিন্তু নিজের ইনিংস আর বড় করতে পারেননি। শফিকুলের বলে মুশির হাতে ধরা পড়েন এ তারকা ফেরেন ৩৫ বলে ৫৫ রান করে। শেষ দিকে বরিশালের পরাজয়ের ব্যবধান কমান শুধু মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এ তারকা করেন ৮ বলে ১৫ রান।
ঢাকায় হয়ে ১৮ রানে ৩ উইকেট নেন মুক্তার আলি। এদিকে শফিকুল পকেটে পুরেন ৩৯ রানে ৩ উইকেট। এরআগে টস জিতে বোলিংয়ে নেমে শুরুতে ঢাকাকে চেপে ধরে বরিশাল। দ্বিতীয় ওভারে মোহাম্মদ নাঈম শেখকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি করেন ১১ বলে ৫। এদিকে তিনে নেমে আল আমিন করেন ০ রান। তাকে ফেরান তাসকিন। এর কিছুক্ষণ পর সোহরাওয়ার্দী শুভ বোল্ড করে ফেরান সাব্বির রহমানকে (১৪ বলে ৮)। যে কারণে বিপদে পড়ে ঢাকা। পরে অবশ্য স্বাগতিকদের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলি।
৪র্থ উইকেট জুটিতে তারা ৩৯ বলে ৫০ রান যোগ করেন। দারুণ খেললেও সোমবার হাফ সেঞ্চুরির আগেই ফিরে যান মুশফিক। কামরুল ইসলাম রাব্বীকে সুইপ করতে যেয়ে স্কাই ক্যাচে থেমেছেন ঢাকা অধিনায়ক (৩০ বলে ৪ চার,১ ছক্কায় ৪৩)। এরপর ৫ম উইকেট জুটিতে ইয়াসির-আকবর আলী দারুণ খেলেন। তারা জুটিতে করেন ১৯ বলে ৩৬ বড়। যে কারণে স্কোরের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল ঢাকা।
কিন্তু মিরাজের বলে লং অনে ক্যাচ দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে আকবর ফিরলে (৯ বলে ২১) ঢাকার বড় স্কোরের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। এদিকে এক এন্ড আগলে রেখে হাফ সেঞ্চুরির পর কামরুল ইসলাম রাব্বীর বলে এলবিডাব্লুউতে থেমেছেন ইয়াসির (৪৩ বলে ৩ চার,২ ছক্কায় ৫৪)। তারপরও বরিশালের সামনে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় মুশির দল।