বরিশাল ব্যুরো : পূর্ণিমা ও সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে বরিশাল বিভাগের ৯টি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির কারণে বিভাগের নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। যদিও সেই পানি ভাটার সঙ্গে সঙ্গে নামতে শুরু করেছে।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বরিশাল কার্যালয় সূত্রে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপদসীমার দুই সেন্টিমিটার ওপরে, ঝালকাঠির বিষখালী নদীর পানি দুই সেন্টিমিটার, ভোলার খেয়াঘাট-সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর পানি দুই সেন্টিমিটার, দৌলতখানের সুরমা-মেঘনার পানি ৫৫ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনে সুরমা-মেঘনার পানি বিপদসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ ছাড়া পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের পায়রা নদীর পানি বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালী পানি ৫৩ সেন্টিমিটার, পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি ৭ সেন্টিমিটার ও উমেদপুরের কঁচা নদীর পানি বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তবে বরগুনা সদরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত বিষখালী নদীর পানি এখনও বিপদসীমার নিচে অবস্থান করছে।
বরিশাল বিভাগীয় আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাজহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওড়িশা অঞ্চলে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে বরিশালের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পায়রা সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর ও বরিশাল নদীবন্দরে এক নম্বর স্থানীয় সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।