প্রতিনিধি, বরিশাল: শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সী দর্শনার্থীদের পদচারণে মুখর বরিশাল বিসিক শিল্প নগরীর উদ্যোক্তা মেলা প্রাঙ্গণ। কভিড-১৯-এর প্রকোপ কমে যাওয়ায় অনেকে মুক্ত হাওয়ায় কোমলমতি সন্তানদের নিয়ে ঘুরতে আসছেন মেলায়। মেলায় সুস্থ ধারার নানা বিনোদন রয়েছে। এছাড়া মেলার প্রবেশদ্বারে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ন্ত্রণের জন্য রয়েছে ফ্রি মাস্ক বিতরণ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, যা স্বাস্থ্যবিধি মানতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
মেলার উল্লেখযোগ্য বিষয় হলোÑসব শ্রেণি-পেশার দর্শনার্থীদের জন্য ফ্রি প্রবেশের ব্যবস্থা রয়েছে। মেলার আয়োজক কমিটি ও মেলায় অংশ নেয়া উদ্যোক্তাদের দাবি, কভিড-পরবর্তী এ ধরনের একটি সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে মেলা আয়োজন করায় সাড়াও পাচ্ছেন তারা।
বরিশাল নগরীর কাউনিয়া বিসিক শিল্পনগরীর বালির মাঠে গত ১০ নভেম্বর উদ্বোধন হয়েছে সর্ববৃহৎ উদ্যোক্তা মেলা। জেলা তথা বিভাগের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ীদের নিয়ে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ মেলা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে নগরীতে সাড়া ফেলেছে উদ্যোক্তা মেলা। প্রতিদিন হাজারো দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখর থাকে মেলা প্রাঙ্গণ। বিশেষ করে শুক্র ও শনিবার অফিস আদালত বন্ধ থাকায় উদ্যোক্তাদের হাতে তৈরি নানা শিল্পকর্ম ও পণ্যসামগ্রী কম দামে কিনতে ছুটে আসছেন বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত দর্শনার্থী ও ক্রেতারা।
মেলায় উদ্যোক্তাদের প্রায় ৮০টি দোকান রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেÑহস্তশিল্প, কুটিরশিল্প, পাটজাত ব্যাগ, পোশাক, আচার, তাঁতশিল্প ও বাহারি খাবারসহ হরেকরকম ব্যতিক্রমী পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন উদ্যোক্তারা। এদিকে মেলার নিরাপত্তার জন্য রয়েছে ১০টির বেশি সিসি ক্যামেরা ছাড়াও শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সার্বক্ষণিক প্রশাসনের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
মেলার অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে শিশুদের বিনোদনের জন্য রয়েছে জাম্পিং জোন, বল হাউস, ট্রেন, নৌকা দোলনা, চড়ক বাজি, হানি সিং, সুপার চেয়ার, পানির ফোয়ারা ও বেলুন সুটসহ নানা রাইডিংয়ের ব্যবস্থা।
মেলায় ঘুরতে আসা ফাহমিদা আলম বলেন, মহামারির প্রকোপ কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর মেলায় আসতে পেরে ভালো লাগছে। এছাড়া এখানে দেখা ও কেনার মতো অনেক কিছু রয়েছে, বিশেষ করে শিশুদের বিনোদনের আয়োজনটি বেশ ভালো লেগেছে।
নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মেলায় ঘুরতে ও কেনাকাটা করতে আসা আবির, শিমলা, নুপুর ও পলাশ এ রকম একটি মেলার আয়োজন করায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সবই ভালো লেগেছে। তবে সার্কাস ও পুতুল নাচসহ আরও বিনোদনের আইটেম থাকলে পরিবারের সবার ভালো লাগতো।
বিসিক উদ্যোক্তা মেলার আয়োজকরা জানিয়েছেন, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি মেলায় আসা দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। দীর্ঘদিন পর নগরীতে একটি সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে মেলা আয়োজন করায় ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলেও জানান তারা।
