আরিফ হোসেন, বরিশাল: বরিশালে গত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। রাত শেষে ভোরে আলো ফুটলেও কিছু স্থানে কুয়াশাচ্ছন্ন দেখা যায়। সঙ্গে শীত শীত অনুভব। এতে বোঝা যায়, দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। আর শীতের আগমনে লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বরিশালের স্থানীয় কারিগররা।
কার্তিকে শীতের শুরু হলেও পৌষ ও মাঘ- এ দুই মাস শীত মৌসুম হিসেবে বিবেচিত। এ সময় বরিশাল নগরীর বাসিন্দারা শীত মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিতে ভিড় করেন লেপ-তোশক বানানোর দোকানগুলোয়। এ কারণে লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় কারিগররা।
অন্যদিকে অনেক পরিবারের সদস্যরা তাদের উঠিয়ে রাখা লেপ-তোশক বের করে ব্যবহারের উপযোগী করার চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে আলাপকালে লেপ-তোশক তৈরি কারিগর সুনীল, কমল দাস ও নাছির জানান, কয়েক দিন পর ক্রেতাদের ভিড় আরও বাড়বে। ক্রেতাদের এ আনাগোনা চলবে পুরো শীতজুড়ে।
সরজমিন নগরীর পদ্মাবতী রোড, বাজার রোড, সাগরদী, চৌমাথা, নতুন বাজার ও কাশিপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, লেপ-তোশকের সব দোকানের ছিল কারিগরদের লেপ বানানোর ব্যস্ততা। দোকানিরাও অর্ডার নিচ্ছেন। ক্রেতাদের বিভিন্ন রং-মানের কাপড় ও তুলা দেখাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এ দৃশ্য চোখে পড়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাটবাজারগুলোয়ও।
এ বিষয়ে পদ্মাবতী রোডের লেপ-তোশক ব্যবসায়ী আরিফ জানান, তুলার মান ও পরিমাণের ওপর নির্ভর করে
লেপ-তোশক তৈরির খরচ। এ বছর জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই লেপ-তোশক তৈরিতে খরচ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বেড়ে গেছে। আর একটি লেপ-তোশক বিক্রি করে তাদের ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা লাভ হয়।
এ ব্যাপারে নগরীর চকবাজার এলাকার ব্যবসায়ী সাঈদ জানান, শীতের তীব্রতা বাড়লে লেপ-তোশকের চাহিদা আরও বাড়বে। বর্তমানে বিকিকিনি ভালো। বাজারে লোক সমাগম রয়েছে। অনেকে আগেভাগে পুরোনো লেপ-তোশক, বালিশ ঠিকঠাক ও নতুনভাবে তৈরি করার অর্ডার দিচ্ছেন।