শেয়ার বিজ ডেস্ক: বরিশালে ইয়াসিন নামে ৯ বছরের এক শিশুর গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরীর রুপাতলী রেডিও সেন্টারের পেছনে একটি পরিত্যক্ত টয়লেটের ওপর থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে থানায় নেওয়া হয়েছে।
নিহত ইয়াসিনের বাড়ি বরগুনার বদরখালী ইউনিয়নের ফুলঝুড়ি গ্রামে। তার বাবা সিএনজিচালক ছগির ঢাকার মহাখালীতে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বসবাস করেন। তবে শিশুটি তার দাদি শিরীন বেগমের সঙ্গে বরগুনা সদরের বদরখালী ইউনিয়নের ফুলঝুড়ি গ্রামে বসবাস করত।
দাদি শিরীন বেগম জানান, শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নাতি ইয়াসিনকে বোন আলেয়ার বাসায় রেখে কাজে যান এবং দুপুরের মধ্যে ফিরে আসেন। এসে নাতিকে বাসায় না দেখে কোথায় গেছে জানতে চাইলে বোন জানান- বেলা ১১টার দিকে বাইরে খেলতে গেছে। এরপর সন্ধ্যা পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ না পেয়ে ছেলেকে বিষয়টি জানান। পরে রাতে ইয়াসিনের খোঁজে মাইকিং করা হয়। ছেলে ও তার বর্তমান বউ আজ শনিবার(৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বরিশালে এসে পৌঁছান। পরে আজ সকালে স্থানীয়রা রুপাতলী রেডিও সেন্টারের পেছনে ইয়াসিনের লাশ দেখতে পেয়ে তাদেরকে জানান।
ইয়াসিনের বাবা ছগির জানান, তার প্রথম সংসারে এক মেয়ে ও ছেলে সন্তান রয়েছে। যার মধ্যে ইয়াসিন ছোট। তার বয়স যখন ৪-৫ তখন প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর থেকে ইয়াসিন ও তার বোন দাদির কাছে বড় হচ্ছিল। বছর খানেক আগে মনোয়ারা নামে এক নারীকে বিয়ে করেন তিনি। যার আগের সংসারে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তবে সন্তানদের নিয়ে কোনো ধরনের বিরোধ ছিলে না তাদের।
ছগিরের বর্তমান স্ত্রী মনোয়ারা বলেন, ওদের আমি নিজের সন্তানের মতোই ভালোবাসতাম। এ হত্যাকাণ্ড কোনোভাবে মেনে নিতে পারছি না। আমাদের সঙ্গে কারও শত্রুতা নেই।
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন বলেন, সকাল ৯টার দিকে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশু ইয়াসিনের গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রুপাতলী রেডিও সেন্টারের পেছনে একটি পরিত্যক্ত টয়লেটের ওপর শিশুটিকে রাতের আঁধারে কেউ জবাই করে হত্যা করেছে।
এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুটির দাদির বোন আলেয়া, তার স্বামী সিরাজুল ইসলাম ও ছেলে আলামিনকে থানায় নেওয়া হয়েছে।