বরিশাল ব্যুরো :
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। সড়কের বিভিন্ন স্থানে লেগেই থাকে যানজট। ঘটছে প্রতিদিনই সড়ক দূর্ঘটনা। প্রান হারাচ্ছে বহু মানুষ। যেমন বরিশালে বুধবার ও বৃহস্পতিবার এই দুই দিনে সড়ক দূর্ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার নতুন শিকারপুর নামক এলাকায় যাত্রীবাহি মাইক্রোবাসের সাথে ঢাকাগামী পরিবহনের মুখোমুখী সংঘর্ষে চারজন নিহত ও ১১জন আহত হয়েছেন। হতাহতরা সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের নথুল্লাবাদ বাসটার্মিনাল থেকে যাত্রী নিয়ে মোল্লা পরিবহনের একটি বাস ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে নতুন শিকারপুর এলাকা অতিক্রমকালে বিপরীতদিক থেকে আসা বরিশালগামী যাত্রীবাহি মাইক্রোবাসের সাথে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মাইক্রোবাসের অজ্ঞাতনামা এক পুরুষ যাত্রী নিহত হন এবং আহত হন আরও ১১ জন। তাদের উদ্ধার করে উজিরপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসার পর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি শেখ মোঃ বেল্লাল হোসেন জানান, হতাহতরা সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী। তাদের নাম ও পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর বাসটি ফেলে চালক ও হেলপার পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি।
উজিরপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মোমিন উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনার পর দুটি যান সড়কের ওপর থাকায় প্রায় ত্রিশ মিনিট বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে সকলধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে উভয় যান সরিয়ে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করা হয়েছে। ওসি আরও জানান, দুর্ঘটনায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
অন্যদিকে বুধবার দুপুরে দিকে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে বিআরটিসি বাস ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে নারীসহ ৪ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয় তিনজন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন- বাকেরগঞ্জ পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আমির চৌধুরী (৬০), ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাসিব (২৫) এবং ব্যাটারিচালিত অটোচালক সোহাগ (২৪)। তবে নিহত ২ নারীর নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলার সহকারী পুলিশ সুপার সুদীপ্ত সরকার।