প্রতিনিধি, বরিশাল : অবশেষে প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষায় বাড়ানো হয়েছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে পারবে। এর আগে অধিদপ্তর কর্তৃক মোট পরীক্ষার্থীর ১০ শতাংশ বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে পারবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। সব মহলের দাবীর প্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে পরিক্ষার্থী ২০ শতাংশ করার ঘোষণা করেছে।
এছাড়া পরীক্ষার তারিখও পরিবর্তন করা হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বরের পরিবর্তে পরীক্ষা ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বরিশাল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহন লাল দাস এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রথমে সিদ্ধান্ত ছিলো স্কুলে অধ্যায়নরত মোট শিক্ষার্থীর ১০ শতাংশ বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারবে। আর পরীক্ষার তারিখ ছিলো ২৯ ডিসেম্বর। কিন্তু শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্কুল শিক্ষকদের দাবীর প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে দেশের সকল জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের সাথে অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল সভা হয়। সভায় আমরা দাবীগুলো তুলে ধরি। এর প্রেক্ষিতে অধিদপ্তর বিবেচনার আশ্বাস দেয়। ওই সভার দুইদিন পর ঘোষণা আসে ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, ২০ শতাংশ হিসাবে বরিশাল জেলায় ৮ হাজার ৬৯৭ জন পরিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করবে। এছাড়া বরিশাল জেলায় মোট ১৬ টি কেন্দ্র নির্ধারন করা হয়েছে। এরমধ্যে বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ সদর উপজেলায় ৬ টি, বাকেরগঞ্জে ২ টি ও প্রত্যেক উপজেলায় ১ টি করে কেন্দ্র রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য আগামী ৩০ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় পরীক্ষা শুরু হবে। বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান এ চার বিষয়ে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে শিক্ষার্থীরা। দুই ঘন্টা সময়ে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। করোনার কারনে দুই বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা হয়নি। চলতি বছর প্রচলিত নিয়ম ও পদ্ধতিতে আলাদা বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হলেও ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চালুর পর এর ভিত্তিতেই বৃত্তি দেওয়া শুরু হয়েছিলো।