নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জ শহরের হাজীগঞ্জ এলাকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. আবদুল্লাহ (১২) নামের এক জেএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। একই দিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গুজ্বরে এক নারীর মৃত্যু হয়।
গতকাল ভোরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. আবদুল্লাহর মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিবিদ্যা নিকেতনের এ শিক্ষার্থী অসুস্থ অবস্থায় গত মঙ্গলবার পর্যন্ত জেএসসির তিনটি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
আবদুল্লাহর বাবা আবদুল হাকিম জানান, ২ নভেম্বর জেএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকেই আবদুল্লাহ জ্বর অনুভব করে। পরের দিন স্থানীয় একটি ফার্মেসি থেকে তাকে ওষুধ এনে খাওয়ানোর পর জ্বরের মাত্রা কিছুটা কমে আসে। এ অবস্থাতেই আবদুল্লাহ জেএসসি পরীক্ষা দিয়ে আসছিল। মঙ্গলবার পরীক্ষা দিয়ে আসার পর জ্বর বাড়তে থাকে। দুপুরের দিকে তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় ফেরত পাঠানো হয়। রাত ১০টার দিকে রক্ত বমি করার পর আবদুল্লাহর অবস্থার অবনতি হলে আবারও তাকে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে কিছু পরীক্ষা দেওয়া হয়। পরীক্ষায় জানা যায়, তার ডেঙ্গু হয়েছে। আবদুল্লাহকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে গতকাল বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার ছেলে আবদুল্লাহ মারা যায়।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আসাদুজ্জামান বলেন, গতকাল রাত ১১টার দিকে আবদুল্লাহকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। সে কয়েকবার বমি করে। বমি ও পায়খানার সঙ্গে রক্ত যাচ্ছিল। তার ডেঙ্গুজ্বর হয়েছিল। আগে থেকে পরীক্ষা করা হয়নি। অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গুজ্বরে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকালে তার মৃত্যু হয়। মৃত মনিজা আক্তার পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার রাজবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গত শনিবার দুপুরে বরিশাল মেডিক্যালে ভর্তি করা হয় মনিজা আক্তারকে। তিনি নিজ গ্রামে বসেই ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হন। মেডিক্যালে ভর্তির পাঁচ দিন পর তার মৃত্যু হয়েছে।’
এ নিয়ে বরিশাল মেডিক্যালে ডেঙ্গুজ্বরে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ মেডিক্যালে চিকিৎসা নিয়েছে দুই হাজার ৯০৭ জন ডেঙ্গু রোগী। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ১৪ জন।