প্রতিনিধি, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলে পঁচা মাছের ভর্তা বিক্রির অভিযোগ উঠেছে৷ শুক্রবার (৪ মার্চ) বঙ্গবন্ধু হলের রাতের খাবারে বিক্রি করা হয়েছে এই পচা খাবার৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আল ফারিউল সিক্ত বলেন, খাবার খাওয়ার সময় আমি মাছ ভর্তা নেই। খাবার অর্ধেক খাবার পর গন্ধে খেতে পারিনা, আমার বন্ধুদের দেখালে তারাও বলে মাছ ভর্তা পঁচা ছিল, পরবর্তীতে আমি অভিযোগ জানাই৷
আরেক ভুক্তভোগী আবাসিক শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম বলেন, গত পরশু দিন দুপুরে ৫০ টাকা দিয়ে মাছ কিনে খেতে গিয়ে-ও পঁচা পেয়েছি।
অভিযোগে সত্যতা প্রমাণে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তখনও পঁচা মাছ বিক্রি চলছে, পরবর্তীতে দ্রুতই খাবারটি সরিয়ে ফেলা হয়।
এ বিষয়ে হলের ক্যান্টিন পরিচালক সাকিব বলেন, অভিযোগ পেলে আমরা খাদ্যতালিকা সরিয়ে ফেলি।
আবাসিক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, একদিকে যেমন রান্নাঘরে ধুলাবালি ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ অন্যদিকে মানহীন ও একই খাবার প্রতিদিন দেয়ায় ডাইনিং-ক্যান্টিনে খাবারের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন তারা। তারা বলছেন, অপুষ্টিকর, পঁচা ও দুপুরের খাবার রাতের খাবারে মিশিয়ে দেয়া হচ্ছে, যা বাধ্য হয়েই খাচ্ছেন তারা। নিম্নমানের খাবার খেয়ে ক্ষুধামন্দা ও চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছেন তারা।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু হলের প্রোভোস্ট আরিফ হোসেন মুঠোফোনে জানান, আমরা এই অভিযোগ পেয়েছি। ক্যাম্পাস খুললে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা সবসময় চাই শিক্ষার্থীরা ভালো থাকুক।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, ভিসি স্যার তাৎক্ষণিক একজন হাউজ টিউটর কে পাঠিয়েছেন এবং শনিবার একটি মিটিং এর মাধ্যমে এ বিষয়ে দেখার জন্য হল প্রোভস্টকে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে-ও বঙ্গবন্ধু হলে খাবারে বিভিন্ন সময়ে শামুক ও কাকড়া পাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে৷