প্রতিনিধি, বরিশাল : বিভিন্ন নাটকীয়তা ও বাধা উপেক্ষা করে আজ শনিবার বঙ্গবন্ধু উদ্যানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশ। আজ দুপুর ২টায় সভা মঞ্চে শুরু হবে মূল আলোচনা। গণসমাবেশের সার্বিক প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। তিনি জানান, গণসমাবেশের অতিথিবৃন্দ ইতোমধ্যে বরিশালে এসে পৌঁছেছেন।
শনিবার রাত ১টার দিকে সমাবেশস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মাঝরাতেও থেমে নেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের স্লোগান। মূল মঞ্চের দুই পাশের সামিয়ানার নিচে এবং পশ্চিম পাশে গাছের নিচে তাঁবু টানিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন নেতা-কর্মীরা। অনেকেই কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমাচ্ছেন। আবার অনেকে কম্বল ভাগে না পেয়ে নিজের পোশাক দিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
প্রস্তুত সভা মঞ্চ
বিভাগীয় গণসমাবেশের মূল মঞ্চ ৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের এবং ৩৫ ফুট প্রস্থে প্রস্তুত করা হয়েছে। মঞ্চের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য আলাদা টং নির্মাণ করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় মঞ্চ পরিদর্শন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ সময়ে তার সঙ্গে স্থানীয় বিএনপির নেতবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নিরবচ্ছিন্ন সভা চালানোর জন্য আলাদা জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যুক্ত করা হয়েছে ইন্টারনেট সংযোগও। এছাড়া নারী ও পুরুষ নেতাকর্মীদের জন্য পৃথক স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
আসতে পারে সরকার পতনের আন্দোলনের ঘোষণা
বিভাগীয় গণসমাবেশর মধ্যে বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশ বেশ গুরুত্ব রাখে বিএনপির কাছে। একসময়ে বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই বিভাগের সমাবেশ থেকে সরকার পতনের ডাক দিতে পারেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলে ধারণা করছেন নেতাকর্মীরা। এছাড়াও খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা, সরকারে অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলবেন নেতবৃন্দ। সিনিয়র দুই নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, খুব গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশ হিসেবে দেখছেন এ বিভাগের সমাবেশকে। তবে কী ঘোষণা আসবে তা আগেভাগেই বলা যাচ্ছে না।
খালি রাখা হবে খালেদা জিয়ার জন্য চেয়ার
অন্যান্য বিভাগীয় গণসমাবেশর মতো বরিশালের সমাবেশেও বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য চেয়ার খালি রাখা হবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির জাহিদ। তিনি জানান, সভার সভাপতিত্ব করবেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেছেন, সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে পালন করলে কোনো বাধা প্রয়োগ করা হবে না। কিন্তু বিশৃঙ্খলা করা হলে আইন প্রয়োগ করা হবে। এদিকে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালের নিরাপত্তায় ৬০ জন আনসার সদস্য নিযুক্ত করা হয়েছে।