Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 2:39 am

বর্জ্যবাহী গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় ফখরুল ও রিজভী ‘খালাস’

নিজস্ব প্রতিবেদক: এক যুগ আগে সিটি করপোরেশনের বর্জ্যবাহী গাড়ি ভাঙচুর ও চালককে মারধরের এক মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ আটজনকে ‘খালাস’ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমান গতকাল বুধবার এ আদেশ দেন।

এ আদালতের পেশকার মো. আতিকুর রহমান খান বলেন, পল্টন থানার এ মামলায় দীর্ঘদিন ধরে কোনো সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে আসেননি। তাই আসামি পক্ষের আবেদনে ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৯ ধারায় বিচারক মামলার কার্যক্রম থেকে আসামিদের মুক্তি দিয়েছেন। ফখরুল ও রিজভীর আইনজীবী সৈয়দ মো. জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, ‘২৪৯ ধারা অনুসারে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তবে যেহেতু মূল ধারায় খালাস শব্দটির উল্লেখ আছে, তাই প্রচলতি নিয়মে আমরা এটাকে খালাস বলে থাকি।’

মামলার অভিযোগপত্রে ২০ জনকে সাক্ষী করা হলেও এখন পর্যন্ত কেউ সাক্ষ্য না দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ফৌজদারী কার্যবিধির ২৪৯ ধারায় মামলার কার্যক্রম বন্ধ রেখে মামলার অভিযুক্ত আটজনকে মুক্তি দিতে আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। তবে আসামিদের মধ্যে ফখরুল বা রিজভী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। খালাস পাওয়া অন্যরা হলেনÑজামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন বাবু, কাজী রেজাউল হক বাবু ও খন্দকার এনামুল হক এনাম।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর সকাল ৭টায় মামলার বাদী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লার গাড়ির চালক মো. আয়নাল ও তার সহকারী মিন্টু রোডের ইস্কাটন থেকে মায়লাবাহী সরকারি গাড়ি নিয়ে মাতুয়াইল ল্যান্ডফিল্ডে যাচ্ছিলেন।
‘তারা পল্টনে কারকরাই কর্ণফুলী স্টোর্সের সামনে পৌঁছলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা ২০০-২৫০ ব্যক্তি তাকে ও তার সহকারীকে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠি দিয়ে পেটায়। এ সময় তারা দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং ময়লাবাহী গাড়ির সামনের গ্লাস ও লুকিং গ্লাস ভেঙে ফেলে।’

ওই দিন রাতে পল্টন মডেল থানায় মামলা করেন চালক মো. আয়নাল। তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর নয়জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল জোনের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন খান। পরে ২০২৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় অভিযোগ গঠন করে আসামিদের বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক। অভিযোগপত্রের ৯ আসামির মধ্যে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু ২০২০ সালের ২৮ জুলাই মারা গেলে তাকে মামলার অভিযোগ থেকে বাদ দেয়া হয়।