নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ চুক্তির আওতায় ঢাকার আমিন বাজারে ৪২ দশমিক পাঁচ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কারখানা তৈরি করা হবে। গতকাল রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড চীনের প্রতিষ্ঠান সিএমইসিয়ের সঙ্গে এ চুক্তি স্বাক্ষর করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের মতো একটি অতিরিক্ত জনসংখ্যার দেশে বর্জ্য নিষ্কাশন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা সেখান থেকে বের হয়ে এসে এ বর্জ্যগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করি এটি আমাদের জন্য একটি বড় প্রাপ্তি হবে। এ প্রকল্পে খুবই সতর্কভাবে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে, যেন বর্জ্য নিষ্কাশন সঠিকভাবে হয় এবং এ থেকে কোনো বায়ু বা পরিবেশ দূষণ না হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিজয়ের মাসে এটি আমাদের একটি বড় প্রাপ্তি। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কেন্দ্র প্রাথমিকভাবে ঢাকার আমিনবাজারে করা হলেও এ উদ্যোগ যথাক্রমে গাজীপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও ঢাকা উত্তরেও করা হবে। এছাড়া দেশের যেসব পৌরসভা বা সিটি করপোরেশন এটার যোগ্য হবে, সেখানেও বিদ্যুৎ বিভাগ থাকবে। আর অচিরে ঢাকা শহরের সব বিদ্যুৎ লাইন মাটির নিচ দিয়ে নেয়া হবে। এখন কেব্ল লাইনের তারগুলো সরানো প্রয়োজন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতিদিন ঢাকা শহরে তিন হাজার টন বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য তৈরি করি। এগুলো এখন পরিবেশের জন্য আর ক্ষতিকর নয়, বরং আমাদের কাজে আসবে। এগুলো থেকেই আমরা এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারব।
একই সঙ্গে এটাও বলতে চাই, আমরা রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন একযোগে কাজ করছি। ঢাকায় কোনো জ্বালানিচালিত বাস চলবে না, চলবে সব বিদ্যুৎচালিত বাস। আর সেটার জন্যও আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি।
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ এবং ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।